খেলতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ভারতে বসে আছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক

ভারতের জয়পুরে আইএইচএফ মেন্স ট্রফি ইয়ুথ অনূর্ধ্ব-১৮ বিভাগে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের কাছে হেরেছে লাল-সবুজ দল। তবে আজ জিতেছে নেপালের বিপক্ষে ৪৬-২৬ গোলে। বিজয়ী দল প্রথমার্ধে ২৫-১৫ গোলে এগিয়ে ছিল। তবে বাংলাদেশ দলে অধিনায়ক হিসেবে ফারশিদ খান গেলেও নিবন্ধন জটিলতায় পড়ে তার খেলাই হচ্ছে না! তাকে থাকতে হচ্ছে দর্শক হয়ে।

গত ৯ জুন ছিল আয়োজকদের কাছে দলের ১৪ জন খেলোয়াড়ের নাম নিবন্ধন করার শেষ সময়। বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন থেকে সে সময় অধিনায়ক ফারশিদ খান ছাড়া সবার পাসপোর্ট পাওয়ায় নিবন্ধন করতে সমস্যা হয়নি। তিন দিন পর ফারশিদের পাসপোর্ট পাওয়ার পর তার নাম আর নিবন্ধন করা যায়নি। তবে টুর্নামেন্টের নিয়মানুযায়ী শেষ মুহূর্তে একজনের নাম নিবন্ধন করা যাবে বিধায় অধিনায়ককে নিয়েই প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। সেই আশায় ছিলেন ঢাকার কর্মকর্তারা।

এর মধ্যে আবার ৯ জুলাই ভোরে জয়পুরে যাওয়ার আগের রাতে কয়েকজন খেলোয়াড়দের ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তখন আবার তাদের জায়গায় এবাদত ও ফারশিদের নাম নিবন্ধন করার চেষ্টা করলেও শুধু এবাদতই টিকে যান। ফারশিদের আর করা যায়নি। তবে ফেডারেশন আশা করেছিল জয়পুরে যাওয়ার আগে যোগাযোগ করে অন্তত অধিনায়ককে দলে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

তবে জয়পুর গিয়ে হতাশ হতে হয়েছে। অধিনায়ককে আর নিবন্ধন করা যায়নি। তাই খেলানোও হচ্ছে না।

এই প্রসঙ্গে হ্যান্ডবল ফেডারেশনের অন্যতম কর্তকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘টুর্নামেন্টের নিয়মানুযায়ী শেষ মুহূর্তে একজনের নাম দেওয়া যাবে। তাই ফারশিদকে অধিনায়ক করেই দল পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে আবার জয়পুর যাওয়ার আগের রাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় চার খেলোয়াড়। আমরা তাদের জায়গায় তখন ফারশিদ ও আরও একজন খেলোয়াড়ের নাম নিবন্ধন করার চেষ্টা করি। শুরুতে ওই একজন মানে এবাদতের নাম নিবন্ধন হলেও ফারশিদের আর হয়নি। তারপরও আশা নিয়ে জয়পুরে দল পাঠানো হয়েছে। এই ফাঁকে আয়োজকদের সঙ্গে অনেক যোগাযোগ করে ফারশিদকে আর খেলানো যায়নি। আসলে আমরা চেষ্টার কোনও ত্রুটি করিনি।’

অধিনায়ক ও নিয়মিত কয়েকজন খেলোয়াড় না থাকায় দলটির কোচ ডালিয়া কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আসলে অধিনায়কসহ দলের অন্যরা না থাকায় একটু তো সমস্যা হচ্ছে। ওরা থাকলে দল আরও শক্তিশালী হতে পারতো। আমরা হয়তো প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জিততে পারতাম। তবে যারাই আছে, তাদের নিয়েই লড়াই করছি। আর ফারশিদের তো খেলতে না পেরে মন একটু খারাপই বলবো।’

কাল মালদ্বীপের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। জিতলেই আবার ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল।