বিদেশি ভাষা এর আগেও শিখেছেন নিয়াজ। ফ্রেঞ্চ ও টার্কিশসহ একাধিক ভাষায় বেশ ভালোই দখল আছে তার। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘আমার ছেলেদের নানান ভাষার প্রতি ঝোঁক রয়েছে। আমি এর আগে এক বছর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ভাষা শিখেছি। আসলে নতুন করে অন্য ভাষা শিখলে তখন সেই দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়।’
করোনাকাল না হলে নিয়াজ দুই ছেলেকে নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ দেখার জন্য বেড়িয়ে পড়তেন। ছেলেদের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে সাধারণত তিনি তাদের সঙ্গেই থাকেন। তবে করোনাভাইরাস এসে সব পরিকল্পনা নষ্ট করে দিয়েছে। সে কথা জানিয়ে নিয়াজ বললেন, ‘গতবার আমরা জর্জিয়া গিয়েছিলাম। এবারও পরিকল্পনা ছিল অন্য কোথাও যাব। কিন্তু তা হলো কই! ওরা কানাডা আছে, আর আমি বাংলাদেশে। এছাড়া ঈদও একা একা ঢাকায় কেটেছে। এমনটা সাধারণত হয় না।’
এই বছর যে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না, সেটা বুঝতে পারছেন নিয়াজ। আগামী আগস্টে দাবা অলিম্পিয়াড হওয়ার কথা ছিল রাশিয়ায়। সেটা হচ্ছে না। এছাড়া এশিয়ান লেবেলে আরও দুয়েকটি প্রতিযোগিতা বাতিল হয়েছে। তাই আগামী বছরের জন্য নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে তাকে।
স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা ছাড়া তাহলে আর কী করে বাসায় ‘বন্দি জীবন’ কাটাচ্ছেন নিয়াজ? উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার জানালেন, অনলাইনে দাবা দেখে, কখনও গিটার হাতে গান গেছে, কখনও আবার সিনেমা দেখে কঠিন এই সময় পার করছেন তিনি।
নিয়াজের ভাষায়, ‘সময় কেটে যাচ্ছে। করোনা না থাকলে হয়তো আজ আমি জমজ ছেলে দুটো নিয়ে ঘুরতে যেতাম। তা হয়নি। এখন কী আর করার। বর্তমান সময়কে মেনে নিতে হচ্ছে। গান গাইছি। গান শুনছি। ঘরের টুকটাক কাজ করছি।’