খেলা চালিয়ে যাওয়ার মতো আলো ছিল, মনে করেন রুপু

কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে ময়মনসিংহে জমজমাট ফেডারেশন কাপের ফাইনাল মলিন হয়ে গেলো। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর স্কোর ১-১ থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটের খেলা শেষে আলোর স্বল্পতায় ম্যাচ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হলো। রেফারির এমন সিদ্ধান্তে যারপরনাই হতাশ আবাহনীর টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু।

গণমাধ্যমের কাছে নিজের অসন্তোষ লুকাননি রুপু। জাতীয় দলের সাবেক এই মিডফিল্ডারের হতাশ হওয়ার কারণ স্বাভাবিক। প্রতিপক্ষ কিংস ১০ জন নিয়ে খেলায় ফেভারিট ছিল আবাহনীই। 

রেফারির সিদ্ধান্ত বিনাবাক্য ব্যয়ে মেনে নিলেও মনের মধ্যে খচখচানি রুপুর, ‘সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রেফারি। একটা ম্যাচ যখন পরিচালিত হয়, তখন সেটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক রেফারি। তিনিই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। টিম সিদ্ধান্ত দিতে পারে না…আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। যদি আলো নিয়ে সমস্যা থাকে, সেটা অন্য বিষয়, কিন্তু এখানে কি আলো ছিল না? সেটা আপনাকে বিবেচনায় নিতে হবে।’

আবাহনী সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল মনে করেন তিনি, ‘আমি জানি না, আমরা তুলনামূলক ভালো পজিশনে (ছিলাম) নাকি কে বেটার পজিশনে থাকতো। কিন্তু পরিস্থিতি যেটা বলছে, ১১ জন বনাম ১০ জন, আমার মনে হয় যে, সেখানে একটু অ্যাডভান্টেজ তো (আমাদের) ছিলই।’

রুপুর মতে, খেলা চালিয়ে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত আলো ছিল মাঠে। তবে বাইলজের বিষয়টিও মাথায় রাখছেন তিনি, ‘আমাদের এখানে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নেই। সবকিছু বাইলজ অনুসরণ করা হয়। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই। আমরা যখন এখানে খেলতে এসেছি, বাইলজ মেনে নিয়েই এসেছি। এখানে বাইলজ অনুসরণ করতে হবে, এটাই বাস্তবতা। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, যে আলো ছিল, তা নিয়ে হয়তো খেলা চালিয়ে যাওয়া যেতো।’

কিংসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বায়েজিদ জোবায়ের আলম নিপু রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, ‘মাঠে আলোর ঘাটতি ছিল। রেফারি বিষয়টি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’