২০১৮ সালে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে ধুন্ধুমার এক লড়াইয়ের পর বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে আবাহনী লিমিটেড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। যদিও দুই দলের লড়াইয়ে কিংস এগিয়ে আছে। এই মৌসুমের চিত্র আবার ভিন্ন। প্রিমিয়ার লিগে ও ফেডারেশন কাপের কোয়ালিফায়ারে কিংসকে ছাপিয়ে আবাহনীর দাপট। দুটি ম্যাচেই জিতেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। মঙ্গলবার কিংসকে ফাইনালে হারাতে পারলে চলতি মৌসুমে তাদের বিপক্ষে জয়ের হ্যাটট্রিকে ট্রফি নিয়ে উল্লাস করার উপলক্ষ আসবে আবাহনীর সামনে। ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে বিকাল পৌনে তিনটার ম্যাচে কিংস নিশ্চয়ই তা হতে দেবে না। মৌসুমে টানা দ্বিতীয় ট্রফির জন্য ফাইনালে ঝাঁপিয়ে পড়বে ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
তবে তার আগে আবাহনী লিমিটেড যে দারুণ ফর্মে আছে, তা মনে রাখতে হচ্ছে কিংসকে। স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে দারুণ পারফরম্যান্স তাদের। কোয়ালিফায়ারে আবার দুই বিদেশি যোগ হওয়ায় শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে। ১০ জন নিয়ে তো কোয়ালিফায়ারে কিংসকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে।
এমন জয়ের ধারাবাহিকতা কালও দেখাতে চাইছেন কোচ মারুফুল হক। দুই মৌসুম পর শিরোপা পুনরুদ্ধারের আশাবাদ দলটির। কোচ বললেন, ‘আমরা আজ দুপুরে ময়মনসিংহে এসে পৌঁছেছি। দুপুরে অনুশীলন করেছে দল। আমার দলের সকলে সুস্থ আছে। তবে কার্ড সমস্যার কারণে ডিফেন্ডার বাবলুকে পাচ্ছি না আমরা। তারপরেও আমি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে পুরোপুরি আশাবাদী।’
প্রতিপক্ষকে সমীহ করে অন্যতম দেশসেরা কোচ বলেছেন, ‘যদিও বসুন্ধরা শক্তিশালী একটি দল। তাদের তো আর বলে কয়ে হারানো যায় না। তারপরেও আমি বলতি পারি। কারণ দুই বিদেশি যোগ দেওয়াতে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শেষ দুটি ম্যাচে আমরা তাদের হারিয়েছি। তাছাড়া সকল খেলোয়াড়দের যে নিবেদন দেখেছি, তা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে।’
কিংস ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের চোট তারওপর মানসম্মত বিদেশির অভাবে দল ভুগছে। এই মৌসুমে চ্যালেঞ্জ কাপ জিতেছে। তবে লিগ একপ্রকার হাতছাড়া। এই অবস্থায় রোমানিয়ান কোচ তিতা ভ্যালেরিউ আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন, ‘আগামীকাল ফাইনাল। আবারও আমরা আবাহনী দলের মুখোমুখি হবো। দলটির আত্মবিশ্বাস উঁচুতে এবং আমাদের ওপরে তারা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে গত দুটি ম্যাচ জেতার পর। যদিও আমরা দাপট দেখিয়েছিলাম কিন্তু ফল তাদের পক্ষে গেছে। দুই সপ্তাহ আগের কাপ ম্যাচে আমরা পেনাল্টিতে হেরেছিলাম ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর। আমরা ১১ জন নিয়ে খেলেছি, আবাহনী ১০ জন। আমার মতে কালকের ম্যাচ দুই দলের জন্য কঠিন হবে। আশা করবো এবার জয়টা আমাদের হবে, ট্রফি জিতে মৌসুম বাঁচাতে হবে।’
এর জন্য তপু-সাদ-রাগিবদের ওপর ভরসা রেখেছেন তিনি, ‘আমি আশা করি আমার খেলোয়াড়রা বুঝিয়ে দেবে যে আমরা কেবল ভাগ্যের ছোঁয়ায় ফাইনালে উঠিনি। আমি নিশ্চিত তারা ট্রফির জন্য সবকিছু দিবে।’