কানাডার সামিত, ইংল্যান্ডের কিউবার পর কে?

বাংলাদেশ জাতীয় দলে প্রবাসী ফুটবলারদের হিড়িক পড়েছে। জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজী ও হামজা চৌধুরীর পর এবার কানাডার সামিত সোম ও ইংল্যান্ডের কিউবা মিচেলকে খেলানোর পরিকল্পনা।  ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলাম তো আছেনই। ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঢাকায় ম্যাচের আগে আপাতত এই তিনজনকে খেলানোর চিন্তা করেই এগোচ্ছে বাফুফে।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত অনেকেই খেলার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম কানাডা জাতীয় দলে খেলা সামিত। গত ১১ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি বাফুফের কাছে বাংলাদেশে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

বাফুফে ইতোমধ্যেই দুই বাংলাদেশি বাবা-মার ঘরে জন্ম নেওয়া সামিতের জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করেছে। এখন পাসপোর্টের প্রক্রিয়া শুরু করবে। 

বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেছেন, ‘আমরা আজ সামিতের জন্ম নিবন্ধন সনদ পেয়েছি। তাকে ইতোমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আমাদের জানাবেন কোনদিন তিনি কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে যেতে পারবেন। আমরা সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ হাই কমিশনকে অবহিত করবো পাসপোর্টের জন্য।’ 

সামিতের পর আলোচনায় এবার নতুন নাম কিউবা। মাত্র ১৯ বছর বয়সী এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের খেলা নাকি বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এই ইংল্যান্ড প্রবাসীর মৌখিক সম্মতিও মিলেছে ইতোমধ্যে। তাই আর দেরি না করে বাফুফে শনিবার পাঠিয়ে দিয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব। 

ইংল্যান্ড প্রবাসী কিউবা সান্ডারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলেন। বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘কিউবা কম বয়সী আর খেলার মানও ভালো। তাকে আনা গেলে অনেকদিন সার্ভিস পাওয়া যাবে। এজন্যই তার প্রতি আমাদের আগ্রহ তৈরি হেয়েছে। জুম মিটিংয়ে কিউবা মৌখিকভাবে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে প্রস্তাব দিয়েছি।’

শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ই-মেইলে বাংলাদেশের হয়ে খেলার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে কিউবাকে। জ্যামাইকান বাবা ও বাংলাদেশি মায়ের এই সন্তান আনুষ্ঠানিক সম্মতি দিলেই বাফুফে প্রক্রিয়া শুরু করবে। তার সুবিধা হলো, তিনি এখনও ইংল্যান্ডের হয়ে কোনও বয়সভিত্তিক দলে খেলেননি। তাই বাংলাদেশের হয়ে তাকে খেলাতে খুব সমস্যায় পড়তে হবে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও এফএর ছাড়পত্র হলেই হবে।  

কিউবার খেলার ভিডিও আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের খেলা দেখে ইমরুলের ভাবনা, ‘কিউবাকে আনা গেলে নাম্বার টেন পজিশন সমস্যার একটা ভালো সমাধান হয়ে যাবে। তখন বাংলাদেশ দলের আক্রমণের জায়গাটাও অনেক শক্তিশালী হতে পারে।’

আপাতত এই তিন জনকে জুনের ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনা। এরপর অন্য যারা ভালো আছেন, তাদেরকেও আনার জোর চেষ্টা চলছে বলে ইমরুলের আশ্বাস, ‘আমার মনে হয় জুনের আগে অন্য যারা আছে তাদের পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। আপাতত ফাহামিদুল-সামিত-কিউবাদের নিয়ে আসা সম্ভব হলে জাতীয় দল অনেক শক্তিশালী হবে।’