কনফারেন্স লিগের ফেভারিট দল চেলসি সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো। বৃহস্পতিবার ওয়ারশে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পোলিশ ক্লাব লেগিয়া ওয়ারশকে ৩-০ উড়িয়ে দিয়েছে ব্লুরা।
অ্যাকাডেমিতে বেড়ে ওঠা ১৯ বছর বয়সী টাইরিক জর্জ ক্লাবের হয়ে প্রথম গোল করেন। জোড়া গোলের দেখা পান ননি মাদুয়েকে।
প্রতিযোগিতায় শতভাগ সাফল্যের রেকর্ড ধরে রেখেছে চেলসি। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগেও তারা দেখিয়ে দিলো, আগামী ২৮ মে ট্রফির লড়াইয়ে তাদেরকে কেন ফেভারিট মনে করা হচ্ছে।
এই ম্যাচে আবারও হতাশ করেছেন কোল পালমার। কোনও ছাপ রাখতে না পারায় হাফটাইমে তাকে তুলে নেওয়া হয়। দ্বিতীয়ার্ধে মাদুয়েকেকে নামাতেই চেলসির খেলাতে উন্নতির ছাপ স্পষ্ট।
জর্জ বলেছেন, ‘আমি গোল করতে পেরে সত্যিই খুশি। অনেক আনন্দ লাগছে। কয়েকটি ম্যাচ খেললাম, আমার প্রথম গোল করে ভালো লাগছে।’
প্রথমার্ধে চেলসি ৭৪ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখলেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে ভুগেছে। কিয়েরনান ডিউসবুরি হাল গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার বাঁকানো শট গোলবারের পাশ দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান স্বাগতিক কিপার ক্যাস্পার তোবিয়াজ।
হাফটাইমের আগে সাবেক লেস্টার সিটি খেলোয়াড় আরেকটি সুযোগ পান। ক্রিস্টোফার এনকুনকুর বাড়ানো বল হেড করে পোস্টের ভেতরে রাখতে পারেননি হাল।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটে রিচ জেমসনের ক্রসে সময়মতো বলে পা ছুঁতে না পারায় সুযোগ নষ্ট করেন হাল। তিন মিনিট পর অবশেষে চেলসি এগিয়ে যায়। জেমসের শট তোবিয়াজ ফেরত পাঠালে বাঁ পায়ের ফিরতি শটে জাল কাঁপান জর্জ।
৫৭তম মিনিটে মাদুয়েকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তোবিয়াজের দুর্বল ক্লিয়ারেন্সে বল পেয়ে যান জ্যাডন সানচো। ডানদিকে দূরের পোস্টে বল বাড়ান তিনি। খুব সহজেই ২-০ করেন স্কোর।
দুটি গোল খাওয়ার প্রায়শ্চিত্ত করেন স্বাগতিক কিপার তোবিয়াজ। অফফর্মে থাকা এনকুনকুর পেনাল্টি শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন।
কিছুক্ষণ পর সানচোর বানিয়ে দেওয়া বলে মাদুয়েকে চেলসির তৃতীয় গোল করেন।