তানজিদ হাসান তামিম ও জাকের আলী অনিকের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৯৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। কঠিন সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে রূপগঞ্জের বাঁহাতি স্পিনার সামিউন বশির রাতুলের ঘূর্ণিতে ১২৬ রানে অলআউট হয় রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। ফলে ১৭২ রানের বড় জয় তুলে নেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ২৯৯ রানের লক্ষ্য দেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই তানজিম হাসান সাকিব তোপ দাগান। এরপর শুরু হয় রাতুলের ঘূর্ণিজাদু। তার স্পিনে রূপগঞ্জ টাইগার্সের ব্যাটাররা একের পর এক উইকেট হারাতে থাকেন। ওপেনার আব্দুল মজিদই খানিকটা প্রতিরোধ গড়তে পেরেছেন। ৭৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন এই ওপেনার। এর বাইরে আরিফুল হক ২৫ ও ১১ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল হাসান লিমন। তাতেই ৪২.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান করতে পারে তারা।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বোলারদের মধ্যে রাতুল সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট শিকার করেন। মাত্র ২৭ রান খরচায় রূপগঞ্জ টাইগার্সের ব্যাটিং মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া রাতুল ম্যাচ সেরা হন। এর বাইরে তানজিম সাকিব ও তানভীর ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ তানজিদ ও জাকেরের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৯৮ রান সংগ্রহ করে। তানজিদ ৫৯ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। জাকের ৮৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। এর বাইরে রাতুলের ৩৪ বলে ৪০ রান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে রূপগঞ্জের বড় ইনিংস গড়তে। এছাড়া শেখ মেহেদী হাসান ১৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন।
রূপগঞ্জ টাইগার্সের বোলারদের মধ্যে হুসনা হাবিব মেহেদী দুটি উইকেট নেন। এছাড়া মাহমুদুল হাসান, আল আমিন জুনিয়র, মঈনুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।