বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী লিমিটেড কিংবা অন্য কোনও দল টলাতে পারেনি মোহামেডানকে। অবশেষে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে এসে নবাগত ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুলের কাছে লজ্জা পেতে হলো সাদা-কালো জার্সিধারীদের। এক উজবেকিস্তানের গোলে মোহামেডান প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে। ইয়ংমেন্স ১-০ গোলে আলফাজ আহমেদের দলকে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছে।
লিগে মোহামেডান ৯ ম্যাচে প্রথম হারে ২৪ পয়েন্ট নিয়েও শীর্ষেই আছে। সমান ম্যাচে ইয়ংমেন্স তৃতীয় জয়ে ৯ পয়েন্টে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে।
শুক্রবার কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মোহামেডান সুলেমানে দিয়াবাতেকে নিয়েই একের পর এক আক্রমণ গড়েও গোল পায়নি। আর সুযোগ পেয়েই ইয়ংমেন্স জয়সূচক গোলটি আদায় করে নেয়।
২৪ মিনিটে ইয়ংমেন্সের দারুণ সুযোগ নষ্ট হয়। এক ডিফেন্ডার বল হারালে শট নেন তাদের আরেক খেলোয়াড়। ততক্ষণে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন গোলকিপার সুজন হোসেন। বল তার মাথার উপর দিয়ে দূরের পোস্ট ঘেষে বেরিয়ে যায়।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলকিপারের ভুলে সুযোগ পেয়েছিলেন দিয়াবাতেও। কিন্তু আচমকা পাওয়া সুযোগ লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মালির এই ফরোয়ার্ড। ইয়ংমেন্স গোলকিপার সাজু আহমেদ ভুল শটে বক্সের ঠিক উপরে থাকা দিয়াবাতের পায়ে তুলে দিয়েছিলেন।
একটু পর মিনহাজ রাকিবের বাইসাইকেল কিক নেওয়ার চেষ্টায় বলের সঙ্গে সংযোগ করতে পারেননি। বক্সে তার পাশেই থাকা দিয়বাতেও ফ্লিকের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শট ঠিকঠাক হয়নি।
বিরতির পরও মোহামেডান কিছু করতে পারেনি। সুযোগ নষ্টের মিছিলে ৬২ মিনিটে যোগ হয় মানজির কুলদিয়াতির নামও। বক্সে অরক্ষিত থাকা বুরকিনা ফাসোর এই ফরোয়ার্ড যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন দেখেশুনে শট নেওয়ার, কিন্তু তার শট বেরিয়ে যায় পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে!
তিন মিনিট পর মোহামেডান সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে ইয়ংমেন্স এগিয়ে যায়। আকবির তুরায়েভের সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সের বেশ বাইরে থেকে উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার সারদোর জাহোনোভের বুলেট গতির শটের নাগাল লাফিয়েও পাননি সুজনকে।
গোল শোধে মরিয়া হয়েও খেলেও সমতায় ফেরা হয়নি। ৭৪ মিনিটে মোহামেডানের সৌরভ দেওয়ার শট গোললাইন থেকে ফেরান নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার সেগুন টোপে ওডুডোয়া। এরপর ৮২ মিনিটে আরিফ হোসেনের শট বাইরের জাল কাঁপায়।
যোগ করা সময়ে ইয়ংমেন্সকে বাঁচান বদলি গোলকিপার তৈয়ব সিদ্দিকী। মোহামেডানের কুলদিয়াতির হেড তৈয়ব সিদ্দিকী লাফিয়ে উঠে এক হাত দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রুখে দিয়ে ম্যাচ ড্র হতে দেননি। শুধু তাই নয় এরই সূত্র ধরে কয়েকটি শট রুখে দিয়ে জয়ের অন্যতম নায়ক বনে যান তৈয়ব।
ময়মনসিংহে আল আমিনের জোড়া গোলে পুলিশ এফসি ২-১ গোলে রহমতগঞ্জকে হারায়।