কাবরেরার কাছে কী চাইছেন তাবিথ?

হাভিয়ের কাবরেরার অধীনে বাংলাদেশের খেলার পরিসংখ্যান দেখলে খুব বেশি আশাবাদী হওয়া কঠিন। লাল সবুজ দলের কোচ হয়ে এই স্প্যানিশের জয়ের সংখ্যা কমই। তার অধীনে তিন বছরে বাংলাদেশ খেলেছে ২৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। যার মাত্র আটটিতে জিতেছে দল। ড্র করেছে ছয় ম্যাচ, বিপরীতে হেরেছে ১৫ ম্যাচে। জয়ের হার মাত্র ২৭.৫৯ শতাংশ।  এর মধ্যে ২০০৯ সালের পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়াটা বড় ইতিবাচক দিক।

তবে বড় বিষয় হলো কাবরেরার অধীনে বাংলাদেশ দল লড়াকু ফুটবল খেলেছে। অন্তত নিজেদের মাঠে কোনও দলকে ছেড়ে কথা বলছে না। জেমি ডের রক্ষণাত্মক কৌশল থেকে বেরিয়ে  জামাল-রাকিবদের আক্রমণাত্মক ফুটবলের দিকে ধাবিত করেছেন কাবরেরা। যা এবার তার চুক্তি নবায়নে বেশ প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল নিজেই জাতীয় টিমস কমিটির চেয়ারম্যান। দিন কয়েক আগে কাবরেরার চুক্তি নবায়ন হয়েছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত থাকছেন কাবরেরা। বেতন ভাতা কিংবা সুযোগ সুবিধা প্রায় আগের মতোই। সেভাবে কিছু বাড়েনি বলে জানা গেছে। এ নিয়ে কেউই মুখ খুলতে চাননি। তবে তাবিথ বাংলা ট্রিবিউনের কাছে সংক্ষিপ্তভাবে কাবরেরা সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

এই দেড় বছরে কাবরোর সামনে দুটি বড় দায়িত্ব। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব ও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। তাবিথ এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, বাফুফে কী চাইছে কাবরেরার কাছে। তার পরিষ্কার কথা, ‘আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট, এশিয়া কাপে কোয়ালিফাই করা এবং সাফ ২০২৫ এর ফাইনালে খেলা।’

এরই সঙ্গে দলকে সেরাটা দেওয়ার আহ্বানও আছে সভাপতির, ‘সেরা পারফরম্যান্স দাও।’

কাবরেরার সঙ্গে এবার দীর্ঘমেয়াদে কোচিং স্টাফ যুক্ত হতে যাচ্ছে। এনিয়ে কাজও চলছে। বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘আমরা একটা কোচিং টিম করতে চাচ্ছি, যেখানে একজন ফিজিও, গোলকিপার কোচ এবং ফিটনেস কোচ থাকবে। আলাদা দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে। দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি মানে প্রায় তিন বছরের।’

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের ম্যাচে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশ জার্সিতে অভিষেক হতে পারে। তাকে কীভাবে বাফুফে তত্ত্বাবধান করবে তা নিয়ে কাজও চলছে। ইংল্যান্ডে অবস্থান করা তাবিথ এরই মধ্যে হামজার সঙ্গে দেখাও করেছেন। এনিয়ে কিছুটা আলোচনাও হয়েছে।