‘খারাপ দিন ছিল, তাই আবাহনীর কাছে হেরে বিদায় নিয়েছি’

ফেডারেশন কাপে ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং। নবরূপে ফেরার পর টানা দুবারের ফাইনালিস্টও সাদা-কালোরা। কিন্তু এবার আর তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে খেলা হচ্ছে না তাদের। আগের দিন আরেক ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেডের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে। 

গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচ জিতলেও কোনও অর্জন নেই মোহামেডানের। ‘বি’ গ্রুপে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট আবাহনীর। সমান ম্যাচে রহমতগঞ্জেরও ৬ পয়েন্ট। দু’দলই কোয়ালিফায়ারের পথে এগিয়ে। তবে মোহামেডান তিন ম্যাচে দুটিতে হেরে আগের তিন পয়েন্ট নিয়ে আছে। গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচ জিতলেও আবাহনী কিংবা রহমতগঞ্জের সঙ্গে হেড টু হেডে হারের কারণে তাদের বিদায় নিশ্চিত। এছাড়া তার আগে আবাহনী কিংবা রহমতগঞ্জের পয়েন্ট হারাতে হবে। তাই অনেক যদি কিন্তুর আগেই মোহামেডানের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে।

সাদা-কালোদের বিদায় নিশ্চিত হওয়ায়‘বি’ গ্রুপ থেকে কোয়ালিফায়ার প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে আবাহনী ও রহমতগঞ্জ। এমন বিদায়ের পর মোহামেডানের কোচ সাবেক তারকা স্ট্রাইকার আলফাজ আহমেদের মন বিষণ্ন। বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমাদের খারাপ দিন ছিল, তাই আবাহনীর কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে। আসলে বিরতির পর অল আউট খেলতে গিয়ে গোল হজম করতে হয়েছে। ওরা প্রতি আক্রমণে গোল করেছে। আমাদের ডিফেন্ডাররা ওদেরকে আটকাতে পারেনি। ফুটবলে এমন খারাপ দিন অনেক সময় যায়।’

আবাহনী কোনও বিদেশি ফুটবলার ছাড়া খেলেছে। অন্যদিকে, মোহামেডান সোলেমানে দিয়াবাতেকে নিয়ে পূর্ণ শক্তি দিয়ে মাঠে দাপট দেখানোর চেষ্টা করেছে। যদিও চোট থেকে ফিরে দিয়াবাতেকে আগের ফর্মে দেখা যায়নি। সাদা-কালোদের কোচ আলফাজ বলছিলেন, ‘দিয়াবাতে পুরোপুরি ফিট ছিল না। অন্যরাও নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি।  আর আবাহনীতে বিদেশি না থাকলে কি হবে, ওদের সবারই তো জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমরা তো আবাহনী না, বলতে গেলে জাতীয় দলের কাছে হেরেছি।’

প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে আছে মোহামেডান। এখন আলফাজের পূর্ণ দৃষ্টি সেখানে,‘ফেডারেশন কাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ এখন আমাদের জন্য নিয়মরক্ষার। লিগে ভালোভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। যে করেই হোক শিরোপা জেতার পণ আমাদের।’