মোহামেডানের বিপক্ষে দুরূহ কোণ থেকে গোল করে আনন্দে ভাসছেন রাজন

আরনেস্ট বোয়েটাং আজ ম্যাচ জয়ের নায়ক হতে পারতেন। তার নেওয়া প্রচেষ্টা একবার ক্রসবারে লেগে ফিরে এলো। আর অন্যগুলো কোনও সময় গোলকিপার কিংবা রক্ষণে এসে বাধা পেয়েছে। মোহামেডানের জয়ের নায়ক হতে পারেননি বোয়েটাং। শেষ পর্যন্ত নায়ক হয়েছেন রহমতগঞ্জের রাজন হাওলাদার। ম্যাচে শেষ দিকে এসে দারুণ এক গোল করে পুরান ঢাকার দলটিকে তিন পয়েন্ট এনে দেন। তাতেই সবাই উৎসব-আনন্দ করতে করতে ক্লাবে ফিরেছে।

ফেডারেশন কাপের ম্যাচে ৮৩ মিনিটে অনেকটাই ধারার বিপরীতে গোল পায় রহমতগঞ্জ। বক্সে ঢুকে রাজন হাওলাদার কাটব্যাক করলে এক ডিফেন্ডার প্রতিহত করেন। ফিরতি বলে ৬ গজের ঠিক বাইরে থেকে কোনাকুনি  শটে এক ডিফেন্ডার ও গোলকিপারকে পরাস্ত করেন এই লেফটব্যাক। 

অথচ এমন পজিশন থেকে গোলটি হবে, তা চিন্তাও করেননি ২১ বছর বয়সী রাজন। রাতে ক্লাবে ফিরে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘ডিফেন্ডার হয়ে ওভারল্যাপ করে ওপরে উঠে খেলা আমার বেশ পছন্দ। ওই সময় বল পেয়ে যখন কাটব্যাকটা আবার ফিরে আসলো, সেসময় সোজা লক্ষ্যে শট নিয়ে নেই। ভাগ্যে যা আছে তাই মনে করে শট নেই। গোল হলে হবে, না হলে নাই। শেষ পর্যন্ত গোল হয়েছে। অনেক দুরূহ কোণ থেকে গোলকিপারের ওপর দিয়ে বল জালে রাখতে পেরে আমি অনেক খুশি। এটাই আমার ক্যারিয়ারে প্রিমিয়ার কিংবা ফেডারেশ কাপে প্রথম গোল।’

রাজনের গোলেই মোহামেডানের সর্বনাশ হয়েছে। হারের যন্ত্রণা নিয়ে মতিঝিলের তাঁবুতে ফিরতে হয়েছে। জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে খেলা রাজন চাইছেন নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সামনের দিকে আরও বড় দলে খেলতে। টানা তিন মৌসুম ধরে রহমতগঞ্জে খেলা ডিফেন্ডার বলছিলেন, ‘আমার স্বপ্ন আরও বড় দলে খেলা। সম্ভব হলে একসময় জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার আশা।’

গোলের পর উৎসব হয়েছে। ম্যাচশেষে কর্মকর্তা ও সমর্থকরা মাঠেই অভিনন্দন জানিয়েছেন। আজ ক্লাবের মধ্যমণিও বটেও। সামনের দিকেও সুযোগ পেলে বড় দলগুলোর বিপক্ষে এভাবে দৃষ্টিনন্দন গোল করে এগিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় রাজনের।