লড়াইটা শুধু দুই বাংলার ক্লাবের মধ্যে নয়, অনেকটা অস্কার ব্রুজনের সঙ্গেও। কিন্তু এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে বসুন্ধরা কিংস কোনও জায়গাতেই জিততে পারেনি। সাবেক কোচ ব্রুজনের ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৪-০ গোলে বিধস্ত হয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে কিংসের।
এতদিন কিংসের প্রাণভোমরা ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবিনহো। তিনি দলে থাকা মানেই অন্যরকম শক্তি। এবার তাকে পায়নি। সতীর্থ মিগেল থাকলেও ১২ কেজি ওজন বাড়িয়ে এসে ঠিকঠাক খেলতেই পারছেন না। তারওপর নতুন বিদেশি যাদের আনা হয়েছে, তাদের মানও আহামরি কিছু নয়। ফ্রান্সের স্ট্রাইকারকে পরখ করে দেখার সুযোগই মিলছে না। এছাড়া ফর্টিস এফসি থেকে যাদের ধারে নেওয়া হয়েছে তাদেরও খেলতে দেখা যাচ্ছে কমই। আর স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স তো আহামরি কিছু নয়। সবমিলিয়ে ভারতের ইস্টবেঙ্গলের কাছে অসহায়ভাবে বড় ব্যবধানে হার।
অথচ ইস্টবেঙ্গল কিন্তু আজকের ম্যাচের আগে ভালো অবস্থায় ছিল না। তারা আইএসএলে নিচের দিকের দল। টানা ৮ ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। ব্রুজন এসে তৃতীয় ম্যাচে ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে পুরানো দলকে ধসিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলকে জয়ের মুখ দেখালেন। তাও উদ্ভাসিত জয়!
থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে টার্ফের মাঠে কিংস শুরু থেকে ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে পেরে ওঠেনি। ব্রুজনের দল প্রথম ৩৩ মিনিটে তাদের কাজ সেরে ফেলে। কিংসের তপু-তারিকরা কোনোভাবেই তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারেনি। চার গোল এসেছে এই সময়ে।
১ মিনিটে ডায়ামানটাখোস গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। ২০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ে। শৌভিক গোল করে কিংসকে আরও পিছিয়ে দেন। ২৬ মিনিটে নন্দ তৃতীয় গোলের দেখা পান। ৩৩ মিনিটে আনোয়ার আলী চতুর্থ গোল করে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে রাখেন। বিরতির পর কিংস গোছালো ফুটবল খেলার চেষ্টা করে কয়েকটি গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি।
ফের্নান্দেজ-রাকিবদের শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, আবার ক্রসবারের ওপর দিয়ে গিয়ে গোল পাওয়া হয়নি।
মাঝে ক্ষণিকের জন্য তপুর সঙ্গে অন্যদের ধাক্কাধাক্কির উপক্রম হয়েছিল। তবে তা বেশি দূর গড়ায়নি। চেষ্টা করেও গোল শোধ দিতে না পারায় কিংসকে চার গোলের হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। এর আগে এএফসি কাপে মোহনবাগানের কাছে ৪ গোল হজম করেছিল তপু-জিকোরা।
১ নভেম্বর কিংস গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে ভুটানের পারো এফসির বিপক্ষে। যদিও সেই ম্যাচের ফলে কিংসের ভাগ্যের কোনও পরিবর্তন হবে না।