রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে বাফুফের কংগ্রেস ও নির্বাচন হচ্ছে। কংগ্রেসে যারা ডেলিগেট কিংবা ভোটার তারাই থাকছেন। বাইরে ঘুরছেন অন্যরা। অনেকটা উৎসবমুখর। কংগ্রেস শেষে হঠাৎ চলমান নির্বাচনে প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে দেখা গেলো। বলরুমের বাইরে লনে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান স্বপ্ন নিয়ে সেই পথে চলতে চাইছেন।
তাবিথকে দেখে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা ঘিরে ধরেছিলেন। দুইবারের সাবেক সহসভাপতি এমনই কৌশলি যে কোনও উত্তরই দিতে চাইলেন না। প্রথম প্রশ্ন ছিল নির্বাচনি পরিবেশ কেমন দেখছেন? তাবিথের উত্তর, ‘আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠে এখানে এসেছি। দেখছি। কিছু বলতে পারবো না। আপনারা ভালো বলতে পারবেন। এখানে তো অনেক উৎসাহী লোকজন। কংগ্রেস শেষ হলো, ভোটগ্রহণ শুরু হবে। নিশ্চয়ই আপনার কাছে অন্যরকম লাগছে?’
তাবিথ সরাসরি বলেছেন,‘আমি আসলে সেভাবে কিছু দেখছি না। মাত্র তো এলাম। এছাড়া আমি ভোটার কিংবা ডেলিগেট নই। তাই এ নিয়ে কিছু বলার নাই।’
নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে কতটুকু আশাবাদী? এমন প্রশ্নে তাবিথের উত্তর , ‘আমি এখনই কিছু বলতে চাই না। ৬ টা পর্যন্ত ভোট চলবে। এরপর যা বলার বলবো।’
নির্বাচনে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে কিছু বলুন? তাবিথ এমন প্রশ্নেও সাবধানি,‘কী বলবো। কী বলার আছে...’
তাহলে কী নির্বাচন কমিশন থেকে আপনাকে কথা বলতে বারণ করা হয়েছে? তাবিথ হেসেই বললেন, ‘এটা ভালো বলেছেন। ভেবে দেখিনি। আসলে এখন কিছু বলতে চাইছি না। সব ভোট শেষে বলবো।’
একটু পর একই জায়গায় দেখা গেলো মিজানুর রহমানকে। খয়েরি কোর্ট ও মাথায় টুপি পরে ঘুরছেন। এরপর কাছে যেতেই নির্ভার কণ্ঠে তিনি জানালেন, ‘জিততে পারলে দেশের ফুটবলকে এশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ে নিতে চাই। নারী ফুটবল নিয়েও কাজ করার ইচ্ছে আছে।’
প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্বাচন হচ্ছে। ভোটারদের হোটেলে থাকা ও খাওয়া ছাড়া ১০ হাজার টাকা ভাতাও দেওয়া হচ্ছে। বিলাসি নির্বাচনের পর দেশের ফুটবলের চেহারা আদৌ পাল্টাবে কিনা তা সময় বলে দেবে।