টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে আন্তর্জাতিক বিরতিতে গিয়েছিলেন আর্লিং হাল্যান্ড। ফিরে করলেন জোড়া গোল। প্রথম মিনিটে ব্রেন্টফোর্ডের আচমকা গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যানচেস্টার সিটি জিতে গেলো ২-১ গোলে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শুরুর চার ম্যাচে রেকর্ড ৯ গোল করলেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।
সিটির জার্সিতে তিন মৌসুমে এবার আরও তুখোড় হাল্যান্ড। লিগে প্রথম চার ম্যাচে ম্যানইউ লিজেন্ড ওয়েন রুনির সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। অভিষেক মৌসুমে ৯ গোল করতে তার লেগেছিল ৫ ম্যাচ। গত মৌসুমে ৯ ম্যাচ খেলে করেছিলেন নবম গোল। এবার আগের সব কীর্তিকে পেছনে ফেললেন হাল্যান্ড।
মাত্র ২২ সেকেন্ডে চলতি লিগ মৌসুমের দ্রুততম গোল করে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ইয়োনে ভিসা জাল কাঁপান। তবে ঠিক ঘুরে দাঁড়ায় সিটিজেনরা। ১৯তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার অ্যাসিস্টে সমতা ফেরান হাল্যান্ড।
৩২ মিনিটে স্বাগতিকরা ২-১ করে। গোলকিপার এডারসনের কিকে ব্রেন্টফোর্ডের প্রান্তে বল পান হাল্যান্ড। তারপর ডিফেন্ডার ইথান পিনককে পরাস্ত করে কিপার মার্ক ফ্লেক্কেনের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।
সিটির হয়ে ৭০ লিগ ম্যাচে ৭১তম গোল করলেন হাল্যান্ড। তাতে লিগে সর্বোচ্চ গোল করার তালিকায় তিনি এরিক ক্যান্টোনা ও লুইস সুয়ারেজকে পেছনে ফেলেছেন।
প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে টানা তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিক করতে পারতেন হাল্যান্ড। কিন্তু ফ্লেক্কেন লিগের শীর্ষ গোলদাতার বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন। তবে ঠিকই তিন পয়েন্ট আদায় করে টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। চার ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের এক নম্বরে থাকলো তারা।
ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর মৃত্যুর পরও হাল্যান্ডের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। তার প্রশংসা না করে পারলেন না গার্দিওলা, ‘আমি বলবো সেরা (ফর্ম), কিন্তু মাত্র চার ম্যাচ, খুব বেশি না। আমি তার কাছে জানতে চাইনি, সে প্রস্তুত আছে কিনা। সে যদি প্রস্তুত না থাকতো আমার কাছে আসতো। সে অসাধারণ অস্ত্র। অবশ্যই, এটা খুব কঠিন। আমরা এখানকার সবার খেয়াল রাখার চেষ্টা করি, কারও সমস্যা থাকলে কাছাকাছি থাকি। আপনাকে শক্ত থাকতে হবে। হয়তো ৯০ মিনিটের জন্য আপনাকে ব্যক্তিগত জীবন ভুলে থাকতে হবে, যদি কখনও বড় আঘাত আসে।’