আর্জেন্টিনা কোচের ‘স্পেশাল সানডে’

কলম্বিয়া ঘাম ছুটিয়ে ছেড়েছে আর্জেন্টিনার। কোপা আমেরিকার ফাইনালে ৯০ মিনিট আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছিল ২০০১ সালের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে যেতেই ঘুরে দাঁড়ায় আর্জেন্টিনা। বদলি খেলোয়াড় লাউতারো মার্টিনেজের একমাত্র গোলে টানা তিনটি মেজর ট্রফি জিতলো আলবিসেলেস্তেরা। স্পেনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দল হিসেবে এই কীর্তি গড়লো তারা।

এই আর্জেন্টিনা হতবাক করছে কোচ লিওনেল স্কালোনিকে, ‘আমি জানি না এটা একটি নতুন যুগের আবির্ভাব কি না। কিন্তু এটা সত্যি যে এই দলটি কখনোই বিস্মিত করা থামাবে না। তারা খুব কঠিন ম্যাচের বাধা জয় করেছে, খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ এবং প্রথমার্ধ ভালো না খেলেও। দ্বিতীয়ার্ধে আমি মনে করি আমরা উন্নতি করেছি এবং জয়ের যোগ্য ছিলাম। ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে, যেখানে দল সবসময় বাড়তি কিছু খুঁজে পায়। তাদের খেলা দেখা সত্যিই চিত্তাকর্ষক। যেভাবে তারা তাদের সবটা দিয়েছে, আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।’

এই ম্যাচ শেষে উইঙ্গার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার জন্য আর্জেন্টিনা অধ্যায় শেষ হলো। তবে তাকে ঘরের মাঠে খেলিয়ে বিদায় দিলে ভালো লাগতো স্কালোনির, ‘ডি মারিয়া আগেও অনেক চমৎকার ম্যাচ খেলেছিল, কিন্তু আজকেরটা ছিল অন্যতম সেরা। ভালোভাবে খেলার পাশাপাশি সময়মতো আক্রমণে যেতে অভ্যস্ত সে। এমনকি যখন তা পা কাজ করছিল না, তখনও সে ২৫ বছর বয়সীর মতো দৌড়াচ্ছিল। সে লিজেন্ড। তাকে থাকতে রাজি করানোর কোনও উপায় নেই। কিন্তু সে যদি নিজের মাঠে ও ভক্তদের সামনে থেকে বিদায় নিতো, ভালো হতো, এটা সে দাবি করে। তার গল্প সিনেমার মতো কারণ যেভাবে শেষটা হলো।’

স্কালোনির স্ত্রী এলিসা স্প্যানিশ। রবিবার একই দিন বার্লিনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার দেশের ইউরো জয় আনন্দকে দ্বিগুণ করেছে। স্কালোনি বললেন, ‘আমার পরিবারকে এখানে সঙ্গে করে এনেছি, দারুণ লাগছে। তাদের আনন্দ দ্বিগুণ কারণ স্পেনও চ্যাম্পিয়ন। আমরা দ্বিগুণ খুশি, এটা স্পেশাল সানডে।’