স্পেনের ফাইনাল জয়ের নায়ক বললেন, ‘আমি আমার কাজ করেছি’

বার্লিনে নিকো উইলিয়ামসের গোলে লিড নিয়েছিল স্পেন। কোল পালমারের গোলে ইংল্যান্ড ফেরায় সমতা। ৬৮ মিনিটে আলভারো মোরাতার বদলি নামা মিকেল ওয়ারজাবাল ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে জাল কাঁপান তিনি। তার ওই গোলে ইউরোতে রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জেতে স্পেন।

ওয়ারজাবালের পা থেকে আসা ওই গোলটি ছিল এই ইউরোতে লা রোহাদের ১৫তম। ১৯৮৪ সালের ইউরোতে ফ্রান্সের করা ১৪ গোলের রেকর্ড ভেঙে দেয় স্পেন।

ম্যাচ শেষে ওয়ারজাবাল বললেন, ‘আমি আমার কাজ করেছি, আমি সেটাই করেছি যেটা দলকে সাহায্য করার জন্য প্রতিটি মুহূর্তে আমার করা উচিত।’

নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন রিয়াল সোসিয়েদাদের এই ফরোয়ার্ড, ‘এই জয় এনে দিতে আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান ছিলাম। সাহায্য করতে পারার মুহূর্তটা আমার জন্য সেরা। এটা অন্য কারও ক্ষেত্রে হতে পারতো।’

লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল পুরো টুর্নামেন্টে আধিপত্য করেছে। নিজেদের সাত ম্যাচের সবগুলো জিতেছে তারা। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ইউরোতে তাদের যোগ্য চ্যাম্পিয়ন করে তুলেছে।

দে লা ফুয়েন্তে বলেছেন, ‘এর চেয়ে সুখী আর কী করে হবো। ভক্ত ও খেলোয়াড়দের দেখে আনন্দ হচ্ছে। একটি সত্যিকারের দল, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালের আগে বলেছিলাম যে গর্বিত ছিলাম, আজ আমি আরও অনেক বেশি গর্বিত। আমরা কী সেটার প্রমাণ দিয়েছে। আমার কাছে তারা বিশ্বের সেরা এবং আজ আমি সেই সংজ্ঞা চূড়ান্ত করছি।’

উইলিয়ামসকে দিয়ে গোল বানানো লামিনে ইয়ামাল বলেছেন, ‘খুব খুশি এবং স্পেনে ফিরে যেতে মুখিয়ে আছি আমি। ভক্তদের সঙ্গে উদযাপন করতে চাই। এটা সত্যিই সেরা উপহার। এটা একটা স্বপ্ন। যখন আমরা সেটা আঁকছিলাম, তখন কঠিন ছিল। আমি জানি না এই দল কী দিয়ে তৈরি, কিন্তু আমরা সবসময় ঘুরে দাঁড়াই এবং জিতি।’

স্পেনের সহঅধিনায়ক রদ্রি হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়। হাফ টাইমে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়া এই মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘আমার খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে সেরা দিন। আমরা একটি পরিবার গড়ে তুলেছি। আমরা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন। এখন আমরা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে সফল দল। আমরা সবাইকে হারিয়েছি।’