কদিন আগেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছিল ইংল্যান্ড। ফাইনালে তারা পিছিয়ে পড়লেও সমতা ফিরিয়ে আশা জাগায়। বদলি নামা কোল পালমারের ওই গোল বিফলে যায়। খেলা শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে ইংলিশদের হৃদয় কাঁপিয়ে গোল করে স্পেন। টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর ফাইনাল খেলেও মেজর টুর্নামেন্টে ৫৮ বছরের শিরোপা খরা ঘুচাতে পারলো না ইংল্যান্ড।
ম্যাচের পর ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন হ্যারি কেইন বিষণ্ন হৃদয়ে বলেছেন, ‘আমাদের সবার অনুভূতি এখন কী, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। বেশ কঠিন একটা ম্যাচ। ম্যাচে ফেরার জন্য আমরা ভালো করেছিলাম, কিন্তু সেটা ধরে রাখতে সংগ্রাম করতে হেয়ছে। শেষ দিকে গোল খাওয়া হজম করা সত্যিই কঠিন।’
টানা দুই ইউরো ফাইনালে ১৮১ মিনিট খেলেছেন কেইন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ তিনি। দুই ফাইনালে মাত্র একটি শট, প্রতিপক্ষের বক্সে কেবল একবার বলে পা ছোঁয়াতে পেরেছেন এবং বল স্পর্শ করেছেন মাত্র ৫৮ বার। বার্লিনের ফাইনালে তিনি ৬০ মিনিট খেলেই মাঠ ছাড়েন।
আরেকটি সুযোগ হারানোর দুঃখ তার, ‘টুর্নামেন্টের পুরোটা সময় আমরা পেছন থেকে ফিরে এসেছি এবং জিতেছি। স্পেনের বিপক্ষে প্রথমার্ধে আমরা ভুগেছিল। বল পায়ে রাখতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো খেলেছি এবং গোলও পেলাম। কিন্তু একটি ক্রসে আমরা ধরা খেলাম, ফাইনাল এমনই। আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া। ফাইনালে ওঠা সহজ নয়। এই সুযোগ পেলে লুফে নিতে হয়। আমরা আবারও পারলাম না। এটা অনেক বেদনাদায়ক। অনেক দিন এটা কষ্ট দেবে।’
গ্যারেথ সাউথগেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বললেন, ‘গ্যারেথ হয়তো সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। তার জন্য আমরা শিরোপা জিততে চেয়েছিলাম।’
ইংলিশ কোচকেও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন শুনতে হলো। সাউথগেট বললেন, ‘আমি মনে করি না এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এটা ভালো সময়। সঠিক ব্যক্তির সঙ্গে আমি এই ব্যাপারে কথা বলবো। এখনকার জন্য এই প্রশ্নের উত্তর নয়।’