দেড় মিলিয়ন ডলার পেলেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আসছে ভিন্নতা

দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতি দুই বছরে একবার হয়ে থাকে। বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোর কাছে এই টুর্নামেন্টের মাহাত্ম্য অন্যরকম। এতদিন ধরে নির্দিষ্ট ভেন্যুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে আসছে। এবার ২০২৫ সালে ছেলেদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নির্দিষ্ট ভেন্যুতে না করে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক করার বিষয়ে অনেক দূর এগিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

এর জন্য মার্কেটিং সংস্থার কাছে দেড় মিলিয়ন ডলার চাওয়া হয়েছে।  যা আগে এক মিলিয়ন ডলার পাওয়া যেতো। স্পন্সর নিশ্চিত হলেই নতুন ফরম্যাটে হবে খেলা।

হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক খেলায় একটি দল তিনটি করে ম্যাচ নিজেদের মাঠে খেলতে পারবে। সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে খেলায় শীর্ষ দুটি দল নিয়ে হবে ফাইনাল। খেলা হবে দেড় মাসব্যাপী।

১৫তম আসরে নতুন ফরম্যাটে খেলা প্রসঙ্গে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, 'সব দেশেই যেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা হয়, সে কথা ভেবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক খেলার কথা অনেক দূর এগিয়েছে। এতে করে প্রতিটি দেশের মাঠে তিনটি করে ম্যাচ হলে টুর্নামেন্টের আকর্ষণ আরও বাড়বে। নিজ দেশের দর্শকরাও খেলা দেখতে পারবে। লটারি করে নির্ধারণ হবে কোন তিনটি ম্যাচ হবে নিজেদের মাঠে। এবার আসিয়ানে এভাবে খেলা শুরু হয়েছে। এর জন্য স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কাছে দেড় মিলিয়ন ডলার চাওয়া হয়েছে। তা নিশ্চিত হলেই সভা ডেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

সাফের আগের ১৪টি আসরের মধ্যে ভারত সর্বোচ্চ ৯ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ শুধু ২০০৩ সালে নিজেদের মাঠে শিরোপা জিতেছিল। গতবার ২০০৯ সালের পর প্রথম সেমিফাইনালে উঠলেও হেরে যায় জামাল ভূঁইয়ারা।