আজ শুরু ইউরোর শেষ ষোলোর লড়াই

ডেনমার্কের প্রেরণা ১৯৯২, কঠিন প্রতিপক্ষ মানছে জার্মানি

১৯৯২ ইউরোর কথা এখনও বলে বেড়ায় ডেনমার্ক। কারণ এটাই যে তাদের প্রথম এবং একমাত্র ইউরোপিয়ান সাফল্য! ফাইনালে সেবার জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়েই শিরোপা ঘরে তুলেছিল তারা। শেষ ষোলোর মিশনে আজ শনিবার সেই জার্মানি তাদের সামনে। ড্যানিশদের প্রেরণা তাই ১৯৯২-এর আসর। 

ইউরোর নকআউট পর্ব আজ শনিবার থেকেই মাঠে গড়াচ্ছে। প্রথম ম্যাচে রাত ১০টায় সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালি। তার পর রাত ১টার ম্যাচে জার্মানি মুখোমুখি হবে ডেনমার্কের। 

টুর্নামেন্টে জার্মানি-ডেনমার্ক এখন পর্যন্ত অপরাজিত। কিন্তু অভিজ্ঞতা ভিন্নরকম। জার্মানি দুটি জয় আর একটি ড্রয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে। বিপরীতে ডেনমার্ক ড্র করেছে তিন ম্যাচেই। তাই প্রথম জয়ের অপেক্ষায় ডেনমার্ক। দলটির ডিফেন্ডার ইয়ানিক ভেস্টেরগার্ড জার্মানদের ফেভারিট মানলেও নিজেদের নিয়ে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করেন, জার্মানির বিপক্ষে ৩২ বছর আগের সেই সাফল্য ফিরিয়ে আনতে পারবেন তারা, ‘জার্মানি অবশ্যই ফেভারিট। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাথা ব্যথার কারণ হতে আমরা ভালো বাসি। তাই নিজেদের শক্তি অনুযায়ী খেলবো।’

ডেনমার্ক কোচ কেসপার ইউলমান তো স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, তাদের হারাতে স্বাগতিক জার্মানদের সর্বোচ্চটা দিতে হবে, ‘শুরুতে জার্মানদের অন্যতম ফেভারিট ভেবেছি। এখন এটা খুবই দুঃখজনক যে তারা আমাদের বিপক্ষে খেলছে। তাদের সেই মান ও প্রতিভা আছে। কিন্তু একই মান এবং প্রতিভা আমাদেরও আছে। আমাদের হারাতে হলে তাদের খুব খুব ভালো খেলতে হবে।’

জার্মানি ও ডেনমার্ক অতীতে চারবার মুখোমুখি হয়েছে। সেখানে দুই দলেল জয় সঙ্গী আছে দুটি করে। ডেনমার্ক ম্যাচকে তাই কঠিন পরীক্ষা মানছেন জার্মানি কোচ নাগেলসম্যান, ‘ওরা ভীষণ সুগঠিত দল। অভিজ্ঞতাও আছে। তাই নিঃসন্দেহে কঠিন প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে তারা।’

বড় টুর্নামেন্টে এটি দুই দলের পঞ্চম লড়াই। নকআউটে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছে ১৯৯২ সালের ইউরো ফাইনালে। সেবার ডেনমার্কই শেষ হাসি হেসেছিল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই দলের শেষ চার লড়াইয়ের তিনটি ড্রয়ে শেষ হয়েছে। তাছাড়া ২০১২ সালের আসরে জার্মানি তাদের হারাতে পেরেছিল ২-১ গোলে। টুর্নামেন্টে এটি জার্মানির টানা পঞ্চম নকআউট। সর্বশেষ দুই আসরে অবশ্য পরাজয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। ২০১৬ সালে সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরেছে ২-০ গোলে। ২০২০ সালেও শেষ ষোলোয় তাদের ইংল্যান্ড হারিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।