মায়ামিতে দারুণ কিছুর প্রত্যাশা ‘আমেরিকার নাম্বার টেন’ মেসির

লিওনেল মেসিকে বরণ করে নিতে আতশবাজি প্রস্তুত রেখেছিল ইন্টার মায়ামি। কিন্তু তার আগেই বিদ্যুতের চমকে আলোকিত ফ্লোরিডা। আকাশ ভেঙে নামে বৃষ্টি। তাতেও মেসিকে উপস্থাপনে পিছপা হয়নি মায়ামি। দেরিতে হলেও ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে জমকালো আয়োজনে স্বাগত জানানো হয় ‘আমেরিকার নাম্বার টেনকে’।

২০ হাজার আসনের স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। বিশ্বকাপ জয়ীকে বরণ করে নেওয়ার উপলক্ষ উৎসবমুখর করে তোলেন ভক্তরা। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দুই ঘণ্টা পর শুরু হয় অনুষ্ঠান।

উপস্থাপক মেসির নাম ঘোষণা করতেই দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। ক্লাবের মালিকেরা তার হাতে তুলে দেন গোলাপি রঙয়ের ১০ নম্বর জার্সি।

গত মঙ্গলবার মায়ামিতে পরিবারসহ পা রেখেছিলেন মেসি। স্থানীয় সুপারমার্কেটে বাজার করতে গেলে ভক্তরা তাকে ঘিরে ধরেন। আর রবিবার হয়ে গেলো তার পরিচিতি পর্ব, একই দিনে দুই বছরের চুক্তিতে সই করেন তিনি।

টি শার্ট ও জিন্স পরা মেসি স্প্যানিশ ভাষায় ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার পরিবারের সঙ্গে এই শহরে আসতে পেরে আমি খুব খুশি। এই প্রকল্পকে বেছে নিয়ে আমি আনন্দিত। আমার কোনও সন্দেহ নেই যে আমরা এটা অনেক উপভোগ করতে যাচ্ছি। আমরা ভালো সময় কাটাতে যাচ্ছি এবং দারুণ কিছু হতে চলেছে। আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, এই দিনটার জন্যও ধন্যবাদ জানাই।’

একই সাফল্য ক্ষুধা নিয়ে মায়ামিতে যোগ দেওয়ার কথা জানালেন মেসি, ‘লড়াইয়ের জন্য ট্রেনিং শুরু করতে আমি অধীর অপেক্ষায় আছি। লড়াই করার জন্য একই রকম আকাঙ্ক্ষা অনুভব করছি, যেটা সবসময় হয়। সত্যিই আমি জিততে চাই এবং উন্নতির জন্য (মায়ামিকে) সাহায্য করতে চাই।’ 

মেসির বক্তব্য শেষে স্টেডিয়ামের বড় স্ক্রিনে তাকে শুভকামনা জানানো হয়। এনএফএল তারকা টম ব্র্যাডি ও এনবিএ খেলোয়াড় স্টিফেন কারিসহ অনেকে তাকে শুভেচ্ছা জানান ভিডিও বার্তায়।

তারপর ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের সঙ্গে মাঠে যুক্ত হন তার স্ত্রী ও তিন ছেলে। তাদের ফটোসেশনের সময় স্টেডিয়ামের চারপাশ আতশবাজির ঝলকানিতে রঙিন হয়ে ওঠে।