চেক নিতে স্টেডিয়ামে সাবিনা খাতুনরা

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি। গত ৬ মাস ধরে যে সমস্যার সমাধান হয়নি, সেটি বোর্ড সভাপতির এক বক্তব্যেই সমাধান হয়ে গেলো আজ! বৃহস্পতিবার বিকালে নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনসহ চার ফুটবলার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এসেছেন সেই চেক নেওয়ার জন্য। একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর তাদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে।

গত বছর সেপ্টেম্বরে নারীদের সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক জয়ে গোটা দেশই তাদের বাহবা দিয়েছে। তার পর দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব জয়ী মেয়েদের ছাদখোলা বাসে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল। ওই সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ (বিসিবি) বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে তাদের জন্য আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। পরে বিসিবির ঘোষিত টাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দাবি করেছে, বিসিবির টাকার বিষয়টি তারা জানে না! অন্যদিকে, বিসিবি বলছে অক্টোবরেই চেক তৈরি ছিল। কিন্তু বাফুফের কেউই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

ঘটনাটি আলোচনায় আসে গতকাল। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেখানেই নারী ফুটবলারদের আর্থিক পুরস্কারের বিষয় নিয়ে তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়। বিসিবির পক্ষ থেকে গড়িমসি করা হচ্ছে এমন গুঞ্জনে তিনি বলেছেন, ‘মিথ্যা কথা। ওরা (বাফুফে) নেয় না। বারবার বলা হচ্ছে তো। সুজনের (সিইও) সঙ্গে কথা বলেন, বলতে পারবে। আমাদের অক্টোবর মাসে চেক সই করা হয়েছে, একদম নামে, নামে।’

পরে একই প্রশ্নে পরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আসলে খেলোয়াড়দের ফাঁকা সময় এবং তাদের কাছে চেক তুলে দেওয়ার যে ইচ্ছে আমাদের ছিল, সেটা মিলছিল না বলেই হয়তো দেরি হচ্ছিল। কিন্তু আমরা প্রস্তুত ছিলাম তিন-চার মাস আগে থেকেই এবং চেকও প্রস্তত ছিল। সেটা আমরা যোগাযোগ করেছি এবং সাম্প্রতিক সময়েও কথা বলেছি। উনারা সুবিধাজনক একটা সময় দিলে চেকগুলো হস্তান্তর করে দেবো। যদি সেটা না হয়, উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা চেকগুলো পৌঁছে দেবো।’