রানির মৃত্যুতে কাঁদছে সবাই: বাংলাদেশের সাবেক ইংলিশ কোচ

বেশ কয়েক দিন ধরেই শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সেই জটিলতা থেকে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে আর ফিরতে পারেননি তিনি। বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে তার জীবন প্রদীপ নিভে যায়। লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবর শুনে স্তব্ধ হয়ে যান ব্রিটেনবাসীরা। সিংহাসনে সবচেয়ে বেশি সময় থাকা রানি এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোকে কাতর সবাই। অশ্রুও ঝরছে অনেকের। রানির মৃত্যুর এমন অনুভুতি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ইংলিশ কোচ জেমি ডে।

লন্ডনের প্রাণকেন্দ্র থেকে একটু দূরেই বসবাস জেমি ডের। অন্যদের মতো তিনিও রানি এলিজাবেথকে ভীষণ শ্রদ্ধা করতেন। রানির মৃত্যুতে শোকাতুর তিনি।

লন্ডন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে বাংলা ট্রিবিউনকে ৪২ বছর বয়সী কোচ বলেন, ‘রানি শুধু ব্রিটেন নয়, বিশ্বের অনেকের কাছে শ্রদ্ধার ব্যক্তি ছিলেন। তিনি একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন। সবাই তাকে অন্যভাবে দেখতেন। সেই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তার প্রস্থানে আমরা সবাই শোকে কাতর। চোখে অশ্রুও চলে এসেছে। তার চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া কঠিন।’

রানির মৃত্যুতে অনেকের চোখে জল নেমেছে। ছবি: রয়টার্স

২০০৫ সালে লন্ডনের দক্ষিণ-পূর্বের শহর সিডকাপ কান্টে স্থানীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রানি এলিজাবেথ এসেছিলেন। তখনই সামনাসামনি তাকে দেখার সৌভাগ্য হয় জেমি ডের। ওই সময় খেলার পাশাপাশি কোচিংয়ে মনোনিবেশ করেছেন তিনি।

খেলার প্রতি রানি এলিজাবেথের টানও ছিল দুর্নিবার। ডে বলেন, ‘রানি সব খেলাই পছন্দ করতেন। ফুটবল তো ছিলই। বিশেষ করে ঘোড়দৌড় বেশি পছন্দ করতেন। আমাদের শহরে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তাকে সরাসরি দেখার সৌভাগ্য হয় তখনই।’

বাংলাদেশে একসময় রানি এলিজাবেথ সফর করেছিলেন। ডে তা জেনে বললেন, ‘রানি অনেক দেশ সফর করেছেন। বিশেষ করে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোতে। আসলে উনি লন্ডনকে পুরো বিশ্বের কাছে অন্যভাবে চিনিয়েছেন। তিনি ছিলেন ব্রিটেনের দূত। সবাইকে একই কাতারে টেনে এনেছেন। এখানকার পর্যটনকে জনপ্রিয় করেছেন। বাকিংহাম প্রাসাদ দেখতে তো পুরো বিশ্ব থেকে পর্যটকরা আসেন। রানির কথা লন্ডনবাসী সবসময় মনে রাখবে।’