বাংলা ট্রিবিউন: সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে কী বলবেন? চাপের মুখে ভেঙে পড়ছেন নাতো…
রনি: চাপ তো আছেই। দেশের মাটিতে খেলা। সমর্থকদের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় দলে খেলার চাপতো রয়েছেই। কিন্তু সেগুলো নিতে না চাইলেও কেমন জানি একটা চাপ চলে আসে। তাড়াহুড়ো করে ফেলছি হয়তো। তাই গোল করতে পারছি না, ফিনিশিংটা হচ্ছে না।
বাংলা ট্রিবিউন: ব্যর্থতার সময় কি নিজের সঙ্গে কথা বলেন?
রনি: আমি নিজের সঙ্গে কথা বলি না এমনটা নয়। ‘পেপ টক’ বলতে যা বোঝায় তা আমাকে কোচ মারুফ ভাই শিখিয়েছেন। কেনও এমন হচ্ছে তা আমার নিজেরই বোধগম্য হয় না। আমার মনে হয় আমাকে আরেকটু ধীর স্থির হতে হবে। এখন আমার মনে পড়ছে লোডভিক ডি ক্রুইফও আমাকে বলেছিলেন আরেকটু সময় নিতে। ডি বক্সে পারিপার্শ্বিকতাটা দেখে তারপর পদক্ষেপটা নিতে।
বাংলা ট্রিবিউন: সমস্যাটা তাহলে কোথায়?
রনি: ব্যাপারটা শুধুমাত্র স্কিলের সমস্যা যে নয় তা আমি বুঝি। মনোসংযোগটা বাড়াতে হবে আমার। ২০১১ সালে জাতীয় দলে ডেব্যু হওয়ার পর এসেছি আবার গিয়েছি। মাঝে ইনজুরির খপ্পরে পড়েছি। কোচও আমাকে বলছেন আমার এখন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময়। আমি জানি না এর কারণে আমি বেশি স্থির হয়ে গিয়েছি কিনা। আমি অন্তত এটি বুঝতে পারছি যে আমাকে শোধরাতে হবে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো পুরোপুরি বিদেশি স্ট্রাইকার নির্ভর। এটি কোনও প্রভাব ফেলছে না যদি কেউ মনে করে তাহলে বলবো তার ধারণাটা পুরোপুরি ভুল। তখন দেশি ফরোয়ার্ডদের খেলার সুযোগ থাকে কম। আবার জাতীয় দলে তাদের দায়িত্বটা পুরোপুরি নিতে হয়। এখানে তো একটা ভারসাম্যহীনতা আছে। আমি মনে করি জাতীয় দলে যে সব ফরোয়ার্ড খেলেন তাদের নিয়মিত খেলার সুযোগটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: নেপালের বিপক্ষে দুটি মিস হয়েছে। সেটা কেনও হলো?
রনি: নেপালের সঙ্গে কাল দ্বিতীয় গোলের সুযোটা নষ্ট করা উচিৎ হয়নি। আমি প্রাকৃতিকভাবে ডানপায়ের খেলোয়াড়। প্রথম সুযোগটা ছিল বাম পায়ে, পজিশনটা ভালো হলেও সেটি আমার জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়টা ছিল ডান পায়ে, কেনও যে আমি পারলাম না… তবে আমার দুঃখ হয় না ভাবলে ভুল হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: ক্লাব ফুটবলে দেশি ফরোয়ার্ডদের কী অবস্থা?
রনি: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো পুরোপুরি বিদেশি স্ট্রাইকার নির্ভর। এটি কোনও প্রভাব ফেলছে না যদি কেউ মনে করে তাহলে বলবো তার ধারণাটা পুরোপুরি ভুল। তখন দেশি ফরোয়ার্ডদের খেলার সুযোগ থাকে কম। আবার জাতীয় দলে তাদের দায়িত্বটা পুরোপুরি নিতে হয়। এখানে তো একটা ভারসাম্যহীনতা আছে। আমি মনে করি জাতীয় দলে যে সব ফরোয়ার্ড খেলেন তাদের নিয়মিত খেলার সুযোগটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: সবশেষ কথা…
রনি: প্রচারমাধ্যমে তো অনেক কিছুই লেখা হয়েছে। দেখি সেমিফাইনালে গোল করতে পারি কিনা। আমি চেষ্ট করবো দলকে এবং দেশকে সাফল্য এনে দিতে।
/এফআইআর/