নানান কারণে এবার বিদেশি খেলোয়াড় না খেলানোর পক্ষে ক্লাবগুলো। অর্থনৈতিক সমস্যা তো আছেই, এছাড়া কোভিডের কারণে খেলোয়াড়দের ঠিকভাবে ঢাকায় আনাটাও ঝামেলা মনে করছে অনেক ক্লাব।
আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘অনেক ক্লাবই চায় না বিদেশি খেলোয়াড় আসুক। এমনিতেই অনেকে গতবার খেলে যাওয়া বিদেশি খেলোয়াড়দের ঠিকমতো বিদায় করতে পারেনি। ফ্লাইট জটিলতা তো আছেই। অর্থনৈতিক সমস্যাও বড় কারণ। সামনের দিকে কোভিড পরিস্থিতি কী হয়, সেটাও দেখার আছে। তাই অনেক ক্লাব বিদেশি ছাড়া লিগ খেলার প্রস্তাব দিয়েছে।’
তবে বিদেশি ছাড়া কিংবা নিয়ে, যাইহোক না কেন, আবহনীর খেলতে কোনও আপত্তি নেই। রুপুর বক্তব্য, ‘লিগ কমিটি যে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা তাতে রাজি আছি। বিদেশি ছাড়া খেলতে কোনও সমস্যা নেই। আবার বিদেশি খেলোয়াড় নিয়েও আমরা মাঠে নামতে রাজি আছি। তবে সব ক্লাবের জন্য যা ভালো হবে সেটা হলেই ভালো হয়। সবার সমন্বয়ে আমরা ফুটবল মাঠে ফেরাতে চাই। এছাড়া সামনের দিকে কোভিড পরিস্থিতি কেমন হয় তা তো আমরা জানি না।’
সবশেষ লিগে পাঁচজন বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন হয়েছিল। একাদশে খেলেছেন চারজন। এর মধ্যে একজনকে খেলতে হয়েছে এশিয়ান কোটায়।
রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ আগেই বলে রেখেছেন, ‘আমরা বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়াই খেলতে চাই। বিদেশি খেলোয়াড় যত কম হবে ততই আমাদের জন্য ভালো।’
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম অবশ্য পুরোপুরি ‘বিদেশি মুক্ত’ লিগ চাইছেন না, ‘পুরোপুরি বিদেশি মুক্ত হলে কীভাবে লিগ হবে। আমি মনে করি বিদেশি খেলোয়াড় কিছুটা কমানো হোক।’