আগে থাইল্যান্ডকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন কোচ গোলাম রব্বানীবাছাই খেলে টানা দ্বিতীয়বার মেয়েদের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ তে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার তারা থাইল্যান্ডের বিমানে চড়বে। এর দুই দিন আগে মঙ্গলবার এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রত্যাশা আর সম্ভাবনার কথা জানালেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তার বিশ্বাস, স্বাগতিক থাইল্যান্ডকে হারিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করলে এবার ভালো কিছু হবে।

কয়েক মাস খেলা না থাকলেও ফিটনেস ধরে রাখতে অনুশীলন করে গেছেন মেয়েরা। গতবার এএফসির টুর্নামেন্টে প্রথম পর্বে ছিটকে যাওয়ার আক্ষেপ এবার কাটাতে প্রত্যয়ী গোলাম রব্বানীর শিষ্যরা। থাইল্যান্ডে গিয়ে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ- প্রতিপক্ষ থাই ক্লাব চনবুরি এফসির সঙ্গে দুটি ও কাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয় দলের সঙ্গে অন্যটি।

‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী থাইল্যান্ড ছাড়াও জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। ১৫ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্ট শুরু করবে বাংলাদেশ। তিন দিন পর প্রতিপক্ষ জাপান, যারা ৩-০ গোলে গতবার জিতেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২১ সেপ্টেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচ তারা খেলবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে, যাদের কাছে গত আসরে ৩-২ গোলে হেরেছিল।

প্রতিপক্ষ কোনোটিই সহজ নয়, কিন্তু জয় দিয়ে শুরু করলে আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা যে আরও দৃঢ় হবে সেটাই বোঝালেন গোলাম রব্বানী, ‘আমাদের জন্য প্রথম ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম খেলা। এর আগেও তাদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। একবার তাদের বিপক্ষে আগে গোল করে এগিয়ে থাকার পর ১-১ গোলে ড্র করেছিলাম আমরা। দুই বছর আগের চেয়ে আমাদের দল অনেক উন্নতি করেছে। প্রথম ম্যাচের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে, এই ম্যাচটা জিততে পারলে ভালো কিছু হতে পারে।’

অধিনায়ক মারিয়া মান্ডার মনেও একই বিশ্বাস, ‘আমিও মনে করি প্রথম ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে লড়াই করবো, জিততে পারলে পরের ম্যাচগুলোতে ভালো কিছু হবে বিশ্বাস করি।’

দুই বছর আগের টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে উত্তর কোরিয়ার কাছে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এরপর জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছেও হেরে যায় তারা। এই ভরাডুবিতেও যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটা এবার কাজে লাগাতে চান বাংলাদেশ কোচ, ‘গতবার অভিজ্ঞতায় বড় একটা ঘাটতি ছিল। যে কারণে কোনও ম্যাচ না জিতে বিদায় নিতে হয়েছিল। এবার অবশ্য আমরা আগের চেয়ে অভিজ্ঞ। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে জানা আছে। প্রত্যেক ম্যাচ ধরে ভালো করার লক্ষ্য নিয়ে সেখানে যাচ্ছি।’

চূড়ান্ত পর্বে ওঠার পথে বাংলাদেশকে বাছাইয়ের দুটি ধাপ পার করতে হয়েছে। এটাই দলকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বললেন গোলাম রব্বানী, ‘আগের চেয়ে দল বেশি আত্মবিশ্বাসী। ঢাকায় প্রথম বাছাইয়ের পর দ্বিতীয় বাছাই পর্ব খেলি মিয়ানমারে। সবার সংশয় ছিল আমাদের মেয়েরা পারবে কী না। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত পর্বে আমরা। আরেকটা ভালো দিক হলো গত দুই বছরে মেয়েরা অনে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলেছে। বয়সভিত্তিক বিভাগে সফলতা পেয়েছে। এসব থাইল্যান্ডে কাজে দেবে। জাপান, উত্তর কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলোর সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা এখন মেয়েদের আছে। যেটা অবশ্যই বাড়তি আত্ববিশ্বাস যোগাবে।’

‘বি’ গ্রুপে খেলছে উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনাম। দুই গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনাল খেলবে। দুই ফাইনালিস্ট জায়গা করে নেবে ২০২০ সালের ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে।

বাংলাদেশের সূচি

১৫ সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড (চনবুরি স্টেডিয়াম)

১৮ সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশ-জাপান (আইপিই চনবুরি স্টেডিয়াম)

২১ সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া (আইপিই চনবুরি স্টেডিয়াম)