বিরাট কোহলি ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার শতাধিক রানের জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে ফেলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। চলতি আইপিএলে প্রতিপক্ষের মাঠে অপ্রতিরোধ্য দলটিকে ঝড়ো ইনিংস খেলে ৯ বল বাকি থাকতে জেতালেন টিম ডেভিড। আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে টানা ছয়টি অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়লো বেঙ্গালুরু। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ফিরোজ শাহ কোটলার মাঠে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
ভুবনেশ্বর কুমার ও জশ হ্যাজেলউডের দারুণ বোলিয়ে দিল্লিকে ৮ উইকেটে ১৬২ রানে থামায় বেঙ্গালুরু। তারপর চতুর্থ উইকেটে ক্রুনাল ও কোহলির জুটি। শেষ দিকে এই জুটি ভাঙার পর ডেভিড ঝড় তোলেন। তাতে ১৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৫ রান করে বেঙ্গালুরু।
দিল্লির ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে ট্রিস্টান স্টাবস আলো ছড়ান। ১৮ বল ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রান করেন তিনি। লোকেশ রাহুল সর্বোচ্চ ৪১ রান করলেও তার ব্যাটিং টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। ৩৯ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার। ওপেনিংয়ে অভিষেক পোরেল ১১ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে দারুণ শুরু করলেও ইনিংস ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। ২২ রান করেন আরেক ওপেনার ফাফ ডু প্লেসি।
ভুবনেশ্বর সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি উইকেট পান হ্যাজেলউড।
লক্ষ্যে নেমে চার ওভারে ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন কোহলি ও ক্রুনাল। দুজনে ৮৪ বলে ১১৯ রানের জুটি গড়েন। কোহলি লক্ষ্য থেকে ১৮ রান দূরে থাকতে আউট হন। ৪৭ বলে চারটি চারে ৫১ রান করেন তিনি। তারপর ডেভিড মাঠে নেমে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। চলতি আইপিএলে ডেথ ওভারে সর্বোচ্চ ছক্কা মারা এই অস্ট্রেলিয়ান ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ছয় হাঁকান। তারপর টানা তিনটি চার মেরে দলকে জেতান। ৫ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৪৭ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্রুনাল।
১০ ম্যাচে সপ্তম জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেলো বেঙ্গালুুরু। গুজরাট টাইটান্স, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস এক ধাপ করে নিচে নেমেছে।