বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম টেস্ট, চতুর্থ দিন

মিরাজের পাঁচ উইকেট, চার দিনেই জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশের হার

প্রথম টেস্টের সংক্ষিপ্ত স্কোর: জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০.১ ওভারে ১৭৪/৭, লক্ষ্য ১৭৪ (মাধেভেরে ১৯*, এনগারাভা ৪*; মাসাকাদজা ১২, কারান ৪৪, ওয়েলচ ১০, উইলিয়ামস ৯, বেনেট ৫৪, আরভিন ১০, মায়াভো ১) 

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯.২ ওভারে ২৫৫/১০ (রানা ০*; সাদমান ৪, জয় ৩৩, মুমিনুল ৪৭, মুশফিক ৪, শান্ত ৬০, মিরাজ ১১, তাইজুল ১, হাসান ১২, খালেদ ০, জাকের ৫৮); বাংলাদেশের লিড ১৭৩ রান। 

জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ৮০.২ ওভারে ২৭৩/১০ ( এনগারাভা ২৮*; কারান ১৮, বেনেট ৫৭, ওয়েলচ ২, আরভিন ৮, মাধেভেরে ২৪, উইলিয়ামস ৫৯, মায়াভো ৩৫, মাসাকাদজা ৬, মুজারাবানি ১৭)। লিড ৮২

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৬১ ওভারে ১৯১/১০ (খালেদ ০*; সাদমান ১২, জয় ১৪, শান্ত ৪০, মুশফিক ৪, মুমিনুল ৫৬, মিরাজ ১, তাইজুল ৩, হাসান ১৯, জাকের ২৮, নাহিদ ০)

ফল: জিম্বাবুয়ে ৩ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা: ব্লেসিং মুজারাবানি (জিম্বাবুয়ে)।

দীর্ঘ চার বছর ৫১ দিন আর ১০ ম্যাচ অপেক্ষার পর বহুল আকাঙ্ক্ষিত টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলো জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের মাটিতে সাত বছর পর সাদা পোশাকে বর্ণিল উৎসব করলো তারা। ২০১৮ সালে সিলেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের টেস্ট জিতেছিল আফ্রিকানরা। সেই মাঠেই একই সাফল্য পেলো তারা। চার দিনেই স্বাগতিকদেরকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

মূলত ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণেই জিম্ববাুয়ের কাছে অপ্রত্যাশিত হার দেখলো বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট তারা। জবাবে জিম্বাবুয়ে ২৭৩ রান করে ৮২ রানের লিড নেয়। বাংলাদেশ তিনশ রানের লক্ষ্য দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। ব্লেসিং মুজারাবানির ৬ উইকেটে ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে মাত্র ১৭৪ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। যদিও মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে ম্যাচ জমিয়ে দেন। এই ইনিংসেও পাঁচ উইকেট নেন তিনি, ম্যাচে ১০ উইকেট।

তবে মিরাজের সাফল্য ছাপিয়ে এবং বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতায় ব্যাঘাত স্বত্ত্বেও ৫১তম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে জিম্বাবুয়েকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ওয়েসলি মাধেভেরে। ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ওয়েলিংটন মাসাকাদজা মিরাজের পঞ্চম শিকার হলে নেমেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সফরকারীদের শঙ্কা দূর করে দেন রিচার্ড এনগারাভা।

এবার ৫০ রান দিযে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। ম্যাচে ১০ উইকেট পেলেন ১০২ রান দিয়ে। দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো জিম্বাবুয়ে। আগামী সোমবার চট্টগ্রামে দুই দল দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে। 

না দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজের পাঁচ উইকেট

ওয়েসলি মাধেভেরে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার জুটি ভেঙে মেহেদী হাসান মিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসেও পাঁচ উইকেট নিলেন। ১২ রানে মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে ম্যাচে ১০ উইকেটের দেখা পেলেন বাংলাদেশি স্পিনার। লক্ষ্য থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে সপ্তম উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে। তবে হার হয়তো এড়াতে পারছে না বাংলাদেশ। 

তাইজুল-মিরাজের ঘূর্ণিতে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

জয়ের জন্য আর ৩০ রান দূরে জিম্বাবুয়ে। ঠিক তখন দলটির আরও একটি উইকেট তুলে চাপ অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। তাইজুলের বলে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন ক্রেইগ আরভিন। শুরুতে অবশ্য আম্পায়ার সাড়া দেননি। পরে বাংলাদেশ রিভিউ নেওয়াতে মিলেছে সাফল্য। রিপ্লেতে দেখা গেছে বল ব্যাট স্পর্শ করে কিপারের গ্লাভসে জমা পড়েছে। তাতে ১০ রানে ফিরেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।  

পরের ওভারে মিরাজ আবারও আঘাত হেনে তুলে নেন নতুন ব্যাটার মায়াভোর উইকেট। তাতে ষষ্ঠ উইকেট শিকারে শেষ বিকালে ম্যাচটা জমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।  

বৃষ্টি বিরতির পর আবার শুরু খেলা

চায়ের বিরতির আগে ও বিরতির পর দুটি করে দ্রুত ৪ উইকেট তুলে জিম্বাবুয়েকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ। তবে ঐতিহাসিক জয় থেকে খুব বেশি দূরে নয় সফরকারী দল। বৃষ্টি হানা দেওয়ার আগে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৩৩ রান। বৃষ্টি হানার আগে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। 

উইলিয়ামসের পর বেনেটকে ফেরালেন মিরাজ

চায়ের বিরতি থেকে ফিরে হাত খোলার চেষ্টা করেছিলেন শন উইলিয়ামস। তাতে জয়ের ব্যবধান পঞ্চাশের নিচে নিয়ে আসে জিম্বাবুয়ে। তাকে দ্রুত বিদায় দিয়ে চাপ তৈরি চেষ্টা করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ঘূর্ণি বুঝতে পারেননি উইলিয়ামস। বাউন্স করে লিডিং এজ হয়ে জমা পড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ফেরার আগে ১৩ বলে ৯ রান করেছেন জিম্বাবুয়ে ব্যাটার। তাতে ছিল একটি ছয়।  

তাকে ফেরানোর পরের ওভারে শুরু থেকে প্রতিরোধ গড়ে খেলা ব্রায়ান বেনেটকেও তালুবন্দি করিয়েছেন মিরাজ। তাকে মেরে খেলতে গিয়ে ৫৪ রানে ফিরেছেন জিম্বাবুয়ে ওপেনার। তাতে চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছে বাংলাদেশ।  

জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন আর ৫৭ রান

১৭৪ রানের লক্ষ্যে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতেই রেখেছে জিম্বাবুয়ে। চায়ের বিরতিতে যাওয়ার আগে দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে দ্রুত দুটি উইকেট পড়লেও জয় থেকে আর ৫৭ রান দূরে সফরকারীরা।  তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১৭ রান। 

শুরু থেকে দাপট দেখিয়েছেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান। ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ম্যাচটা নিজের হাতের মুঠোয় নেয় তারা। কারানকে ৪৪ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিরাজ। দ্রুত সময়ে নতুন ব্যাটার ওয়েলচকে ফেরালেও ততক্ষণে ব্যবধান কমিয়ে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে। প্রান্ত আগলে ফিফটি তুলে খেলছেন আরেক ওপেনার বেনেট। তুলে নিয়েছেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি। 

দ্বিতীয় সেশনে ২৭ ওভার খেলা হয়েছে ২ উইকেটের বিনিময়ে জিম্বাবুয়ে রান তুলেছে ১১৩ রান।  

দ্বিতীয় সাফল্য এনে দিলেন তাইজুল

দ্রুত লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। নতুন ব্যাটার নিক ওয়েলচকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তিনি। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে ১১২ রানে তুলে নিয়েছেন সফরকারীদের দ্বিতীয় উইকেট।  

৯৫ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙলেন মিরাজ

লাঞ্চ বিরতি শেষে বিশ ওভার নির্বিঘ্নে ব্যাট করেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। নতুন বলে তাদের কোনও বিপদেই ফেলতে পারেনি নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদরা। বরং তাদের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছেন সফরকারী দুই ওপেনার। ১৭৪ রানের লক্ষ্যে এই জুটিতে ভর করে ওপেনিংয়ে ৯৫ রান যোগ করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান। অবশেষে ২১তম ওভারে শুরুর জুটি ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে মেরে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন কারান। ফেরার আগে ৭৫ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। তাতে ছিল ৭টি চার।   

এক ওভার ব্যাট করেই লাঞ্চ বিরতিতে জিম্বাবুয়ে

প্রত্যাশিত রান পায়নি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে ১৭৪ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমেছে। এখন দায়িত্বটা স্বাগতিক বোলারদের। সফরকারীরা এক ওভার ব্যাট করার পরই নেওয়া হয়েছে লাঞ্চ বিরতি। বিনা উইকেটে তারা সংগ্রহ করেছে ৪ রান। 

জিম্বাবুয়েকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

সিলেটে প্রথম টেস্টে তিনশর কাছাকাছি লক্ষ্য দিতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারেনি স্বাগতিক দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রানেই গুটিয়ে গেছে। তাতে ১৭৩ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৭৪ রান। 

বড় লক্ষ্য পেতে গতকাল থেকে প্রান্ত আগলে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর নির্ভর করছিল সব কিছু। কিন্তু চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ৬০ রানে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার পর বদলে যায় দৃশ্যপট। ৩২ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বড় লিডের আশা মিলিয়ে যেতে থাকে। জাকের আলী চাপের মাঝে হাফসেঞ্চুরি তুলে হাসান মাহমুদকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাসানের আউটের পর যোগ্য সঙ্গ পাননি। শেষ পর্যন্ত জাকের ৫৮ রানে আউট হলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৫৫ রানে। 

দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে শুরুতে বিপদে ফেলা পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ৭২ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ২০ রানে দুটি নিয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। একটি করে নিয়েছেন ভিক্টর নিয়াউচি ও রিচার্ড এনগারাভা।  

জাকের আলীর হাফসেঞ্চুরির পর মাসাকাদজার জোড়া আঘাত

দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বড় লক্ষ্য পাওয়ার পথে ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। তার পরও প্রান্ত আগলে দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে টেনে নিতে থাকেন জাকের আলী। অষ্টম উইকেট জুটিতে হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেন ৩৫ রান। এই সময়ে চাপের মাঝে তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট ফিফটি। তার ব্যাটেই লিড দেড়শ ছাড়িয়েছে। জাকের আলীর হাফসেঞ্চুরির পর অবশ্য আউট হয়ে যান হাসান মাহমুদ। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে মেরে খেলতে গিয়ে হাসান কাটা পড়েছেন। পরের বলে নতুন নামা খালেদ আহমেদকেও প্রথম স্লিপে তালুবন্দি করান মাসাকাদজা। তাতে ২৪৮ রানে পড়েছে নবম উইকেট।  

দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বড় লক্ষ্যের পথে ধাক্কা খেলো বাংলাদেশ

দিনের প্রথম ওভারেই শান্তকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলেছিলেন মুজারাবানি। নতুন নামা মেহেদী হাসান মিরাজকেও থিতু হতে দেননি তিনি। তার শর্ট লেংথের বলে ছিল বাড়তি বাউন্স। মিরাজও দেরি করে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। তাতে করে বল তার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় গালিতে থাকা বেনেটের হাতে। মিরাজ বিদায় নেন ১১ রানে। এই উইকেট তুলেই পঞ্চম উইকেটের দেখা পান মুজারাবানি। 

মিরাজের আউটের পরের ওভারে নিয়াউচির শিকার হন তাইজুল ইসলামও। শুরুতে ক্যাচের হালকা আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। জিম্বাবুয়ে রিভিউ নিলে দেখা গেছে বল তাইজুলের ব্যাট স্পর্শ করে জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে। তাতে ৩২ বলের ব্যবধানে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়েছে স্বাগতিক দল। 

দিনের দ্বিতীয় বলেই ফিরলেন অধিনায়ক শান্ত

মুশফিকের দ্রুত আউটের পর চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তার পর বড় লিডের আশায় প্রান্ত আগলে দিশা দেখাচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পঞ্চম উইকেটে জাকের আলীকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে খেলছিলেন। কিন্তু চতুর্থ দিন মাঠে নামতেই দিনের দ্বিতীয় বলে ফিরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। 

ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বলে প্রলুব্ধ হয়ে পুল শট খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন শান্ত। বল লিডিং এজ হয়ে জমা পড়ে নিয়াউচির হাতে। তাতে ভেঙেছে ৩৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। শান্ত বিদায় নিয়েছেন ৬০ রানে। তার ১০৪ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চারের মার।    

বেলা ১১টায় শুরু খেলা

সর্বশেষ পর্যবেক্ষণের পর জানানো হয়েছে, আর বৃষ্টি না হলে বেলা ১১টায় শুরু হবে খেলা।

প্রথম সেশন চলবে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। লাঞ্চ বিরতি দুপুর ১টা থেকে দুপুর ১টা ৪০ মিনিট। দ্বিতীয় সেশন ১টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। চায়ের বিরতিতে যাওয়া হবে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে। তার পর তৃতীয় সেশন ৪টায় শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিট।  

বৃষ্টিতে চতুর্থ দিনও খেলা শুরু হতে দেরি

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সিলেট টেস্ট যথাসময়ে শুরু করা যাচ্ছে না। গতকাল তৃতীয় দিন শেষ বিকালে আলোর স্বল্পতায় খেলা আগেই শেষ করতে হয়েছিল। চতুর্থ দিন অর্থাৎ বুধবার খেলা শুরুর কথা ছিল সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু সকালে ঝড়ো বৃষ্টিতে ভেজা আউট ফিল্ডের কারণে খেলা শুরুর সময় পিছিয়েছে। সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে সকাল ১০টায় আম্পায়াররা পর্যবেক্ষণ করবেন। তার পরই জানা যাবে খেলা শুরুর সময়।

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ১১২ রানের লিড নিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৬০) ও জাকের আলী (২১)। তারা এখনও ৩৯ রানে অবিচ্ছিন্ন।