‘৩০০ রানের লক্ষ্য দিতে পারলে খুব ভালো, নয়তো ২৭০-২৮০’

মঙ্গলবার সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে বৃষ্টি বিড়ম্বনায়। এদিন ৫৭ ওভারের পর পৌনে পাঁচটার দিকে আলোক স্বল্পতায় বন্ধ হয় খেলা। পাঁচটা বাজার কয়েক মিনিট যেতেই দিন শেষের ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। তার আগে পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে খেলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকের আলী। ৩৯ রানে অবিচ্ছিন্ন জুটি নিয়ে বুধবার চতুর্থ দিনে মাঠে নামবেন তারা। ১১২ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ চায় লক্ষ্যটা ৩০০ রানের দিতে। সেটি সম্ভব না হলে অন্তত ২৭০ থেকে ২৮০ রানের টার্গেট ছুড়তে চায় তারা। তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুমিনুল হক এমনটাই জানিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মুমিনুল বলেছেন, ‘(লক্ষ্যটা) ৩০০ হলে খুব ভালো। যদি না হয় ২৭০-২৮০ হলেও ভালো। ৩০০ হলে আলহামদুলিল্লাহ, ভালো অবস্থানে চলে যাবো।’

দিন শেষে বাংলাদেশ দল ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করেছে। মুমিনুল যে লক্ষ্যের কথা বলেছেন সেটি ছুঁতে আরও অন্তত ১৮৮ রানের প্রয়োজন। ক্রিজে ব্যাটার হিসেবে আছেন জাকের ও শান্ত। ব্যাটিংয়ে নামার অপেক্ষায় আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তিন ব্যাটার নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানো কি সম্ভব-এমন প্রশ্নে মুমিনুল বলেছেন, ‘আত্মবিশ্বাসী এই কারণে যে শান্ত ও জাকিরের পর মেহেদী (মিরাজ) আছে, আমাদের টেল এন্ডারে যারা আছে তাইজুল ও হাসানও ব্যাটিং করতে পারে। এ কারণে আত্মবিশ্বাসটা বেশি।’

মুমিনুল আরও বলেছেন, ‘যারা এখন ব্যাটিং করছেন, এরপর মিরাজ আছে। অনেক ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিং করতে হবে। খেলাটা কালকে সকালে হয়তো হার্ড হয়ে আসতেও পারে। ওই সময়টায় আমাদের ক্যালকুলেটিভ খেলতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কারো লম্বা সময় ব্যাটিং করতে হবে বলে মনে করি। আমার ও শান্তর যেমন পঞ্চাশ রানের জুটি ছিল। সেখানে কিন্তু আমরা বের হয়ে গেছি। এরকম কালকে যখন পরিস্থিতি আসবে তখন এরকম একটা জুটি গড়লে আমরা আমাদের যে লক্ষ্য ৩০০, সেখানে পৌঁছাতে পারবো।’

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসে সেট হয়ে আউট হয়েছেন মুমিনুল। ৫৬ রানের পর ৪৭ রান করেছেন তিনি। থিতু হওয়ার পর আউট হওয়াতে দলের ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন টেস্ট দলের গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাটার, ‘সর্বোচ্চ এক সেশন খেলতে পেরেছি। সিনিয়র হিসেবে এক সেশন কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি যদি তিন সেশন ব্যাটিং করতে পারতাম, তাহলে প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো অবস্থানে চলে যেতে পারতাম আমরা।’