পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টে ৬১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে নাম উঠিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওই টেস্টের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টেও পেলেন ৫ উইকেট। অনন্য এই অর্জনের পর মিরাজ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্টেডিয়ামেও অর্নাস বোর্ড রাখার দাবি জানালেন।
দিনের সেরা পারফর্মার হয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বললেন, ‘একটা জিনিস দেখেন, প্রত্যেকটা মানুষের অর্জন কিন্তু ভালো লাগার একটা বিষয়। অর্জন কিন্তু... একদিনে আসে না। কষ্ট করতে হয়, তারপর অর্জনটা আসে। যেটা বললেন যে... রাওয়ালপিন্ডিতে ওখানে… ৫ উইকেট পেয়েছিলাম। আর… নাম দেখেছি, ভালো লেগেছে, যখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে গেছি। আর তারপরে যেটা বললেন বাংলাদেশে... আমার কাছে যেটা মনে হয় যে এই ঐতিহ্য চালু করা উচিত। আর যারা এখন বর্তমানে আছেন, আশা করি তারা এটা নিয়ে চিন্তা করবেন।’
মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে বড় সংগ্রহ করতে দেয়নি বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন এই স্পিনার পাঁচ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের ২৭৩ রানে গুটিয়ে দেন। মিরাজ অপ্রত্যাশিতভাবে ভালো করে ভালা লাগার অনুভূতির কথা প্রকাশ করলেন, ‘অবশ্যই উইকেট পেলে তো সবারই ভালো লাগে। দিনশেষে... যেহেতু... হোমে খেলা, আর… প্রত্যাশা আমার নিজের কাছেও অতটা উঁচু ছিল না। চেষ্টা ছিল ঠিক জায়গায় বল করা ও টিমকে ভালো সাপোর্ট করা। আর... ৫ উইকেট তো অবশ্যই ভালো জায়গায় বল করতে হবে, একই সময়ে ভাগ্য ভালো হওয়া লাগবে।’
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কেবল স্পিনার হিসেবেই দলে খেলেছিলেন মিরাজ। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অলরাউন্ডার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও ব্যাটিংয়ে নিয়মিতভাবে ভালো করতে পারছেন না। নিজের অলরাউন্ডার পারফরম্যান্স সম্পর্কে মিরাজ বলেছেন, ‘যেহেতু আমার কাছে দুটো অপশন আছে, সেজন্য দুটো দিকেই কাজ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি দেখেন দুই তিন বছর ধরে ব্যাটিংয়ে একটা ভালো ফোকাস দিয়েছি। যেহেতু আমি... শেষ তিন বছরে খুব ভালো ব্যাটিং হচ্ছে। কিছু জায়গায় উন্নতি করেছি, আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। সুতরাং দুটোতে ভারসাম্য করেই চলতে হবে। অনেক সময় শতভাগ হবে না, কিন্তু আমার কাছে মনে হয় দুটা যদি একইসঙ্গে এগিয়ে রাখতে পারি তাহলে আমার জন্য ভালো হবে। টিমের জন্যও অনেক ভালো হবে।’
প্রসঙ্গত, ৮২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে বাংলাদেশ চতুর্থ ওভারেই ওপেনার সাদমান ইসলামকে হারায়। আরেকটি উইকেট হারাতে পারতো। মাহমুদুল হাসান জয় জীবন পাওয়ায় এক উইকেট হারিয়েই দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। জয় ২৮ ও মুমিনুল ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশ ১ উইকেটে করেছে ৫৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও তারা ২৫ রানে পিছিয়ে।