গুলশানকে হারিয়ে আরও এগিয়ে গেলো আবাহনী

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। চলতি মৌসুমে মাঝারি মানের দল গড়েও দারুণ লড়াই করছে তারা। সুপার লিগে টানা দুই ম্যাচ জিতে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আরও এগিয়ে গেলো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। 

গ্রুপ পর্বে ১১ ম্যাচের মধ্যে দশটি জেতা আবাহনী সুপার লিগেও জয়যাত্রায়। রবিবার তারা হারিয়েছে প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগে খেলতে এসে সুপার লিগে ওঠা গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে। আগে ব্যাটিং করে আবাহনী ২৭৮ রান করে। জবাবে খেলতে নেমে গুলশান ২২৮ রানে অলআউট হলে ৫০ রানের জয় পায় মোসাদ্দেক হোসেনের দল।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া আবাহনী গুলশানকে ২৭৯ রানের লক্ষ্য দেয়। কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় গুলশান। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দুই ক্রিকেটার জাওয়াদ আবরার ও আজিজুর রহমান তামিমকে হারিয়ে চাপটা একটু বেশিই পড়ে গেছে গুলশানের। টপ অর্ডারে প্রায় সব ম্যাচেই তাদের প্রভাব ছিল। রবিবার ৭১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় গুলশান। লেট অর্ডারে নিহাদুজ্জামানের অপরাজিত ৮২ রানে কেবল হারের ব্যবধানটাই কমেছে। শেষ পর্যন্ত অলআউট না হলেও ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে গুলশানের ইনিংস থামে ২২৮ রানে।

আবাহনীর বোলারদের মধ্যে মেহরাব হাসান, রাকিবুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহফিজুর রহমান রাব্বি প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া আবাহনী পারভেজ হোসেন ইমনের বিস্ফোরক ইনিংসে ২৭৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে। ইমন ৭০ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৩ রান করেন। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে মিঠুনের ব্যাট থেকে।

গুলশানের বোলারদের মধ্যে ফরহাদ রেজা ও রায়হান আলী ইকরাম তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট শিকার করেন নিহাদুজ্জামান। দারুণ বোলিংয়ের পর তিনি চমৎকার ব্যাটিং করলেও তা ম্লান হয়ে যায় আবাহনীর জয়ে।