পঁচিশেই সেঞ্চুরির ‘হাফ সেঞ্চুরি’, বিজয়ের প্রতিজ্ঞা পূরণ

দুই মাস আগে এনামুল হক বিজয় তার ফেসবুকে ডায়েরির একটি পৃষ্ঠার লেখা শেয়ার করেছিলেন। সেখানে লেখা ছিলো, ‘২০২৫ এর ঐ বছর শেষ হবার আগে আমার সেঞ্চুরি থাকবে ৫০টা।’ লেখাটা লিখেছিলেন ২০১৪ সালে। ১১ বছর আগের সেই প্রতিজ্ঞা অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করলেন। 

৪৯তম সেঞ্চুরি করার পর আরও চারটি ইনিংস খেলে অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আজ রবিবার বিকেএসপিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে সেঞ্চুরির ‘হাফ সেঞ্চুরিতে’ রেকর্ড বইয়ে নাম ওঠালেন বিজয়। খেলেছেন ১১০ রানের ইনিংস।

বিজয়ের ৫০ সেঞ্চুরির ২৪টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। বাকি ২৬টির মধ্যে ২৩টি লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এবং টি-টোয়েন্টিতে ৩টি। বিজয়ের সেঞ্চুরির ৪৭টিই ঘরোয়া ক্রিকেটে। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ৪৯টি ম্যাচ খেলে ৩টি সেঞ্চুরি আছে এই খুলনার ক্রিকেটারের। স্বীকৃত ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডটা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই বিজয়ের দখলে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রাজশাহীর হয়ে খুলনার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেই রেকর্ডটা গড়েন তিনি। স্বীকৃত ক্রিকেটে যেটি ছিল তার ৪৭তম সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরিতে নাঈম ইসলামের ৪৬ সেঞ্চুরির রেকর্ডকে পেছনে ফেলেন তিনি।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশিদের মধ্যে স্বীকৃত ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি নাঈমের। তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ৪৬টি। স্বীকৃত ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি ইংলিশ কিংবদন্তি জ্যাক হবসের। ২৯ বছরের ক্যারিয়ারে ১৯৯টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৮ সেঞ্চুরি আছে গ্রায়েম হিকের।

রবিবার বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও রূপগঞ্জ। ম্যাচটিতে আগে ব্যাটিং করে রূপগঞ্জ ৩৯.২ ওভারে ২২৩ রান করে তারা। সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে। ৫২ রানের ইনিংস খেলেন সাইফ হাসান। 

সহজ এই লক্ষ্যটা বিজয়ের রেকর্ডের দিনে অনায়াসেই ছুঁয়ে ফেলে গাজী গ্রুপ। তার সেঞ্চুরিতে ৪১ ওভারে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে দল। বিজয় ১০৫ বলে ১০ সেঞ্চুরি ও ১ ছক্কায় ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন। দারুণ ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন তিনি।