আবেশ খানের বোলিংয়ে শেষ ওভারে হারলো রাজস্থান

রাজস্থান রয়্যালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচে আলো কেড়ে নিয়েছিলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। নিলামের আলোচিত কিশোর এখন আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেক হওয়া ক্রিকেটার। শুধু কি তাই? ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক করেছেন প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে! অবশ্য তার অভিষেক ম্যাচটা জিততে পারেনি রাজস্থান। তাদের ২ রানে হারিয়ে দিয়েছে লখনউ। 

অথচ শেষ ওভারে জয়ের জন্য মাত্র ৯ রান প্রয়োজন ছিল রাজস্থানের। কিন্তু আবেশ খান স্নায়ু ধরে রাখায় শেষ ৬ বলে মাত্র ৬ রানই নিতে পারে তারা! তাতে রাজস্থানের নাকের ডগা থেকে জয় ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে লখনউ। 

১৭ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ দেখে মনে হচ্ছিল তিন ম্যাচ হারের বৃত্ত ভাঙতে পারবে রাজস্থান। ১৮ বলে প্রয়োজন ২৫। তখন ১৮তম ওভারে ৫ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট তুলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সমর্থ্য হন আবেশ খান। প্রথম বলেই ফেরান সেট হয়ে থাকা ও সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালকে (৭৪)। তার ৫২ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। 

একই ওভারের শেষ বলে আরেক সেট ব্যাটার রায়ান পরাগকে (৩৯) আউট করলে নড়বড়ে পরিস্থিতিতে পড়ে যায় রাজস্থান। পরাগের ২৬ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছয়। যার প্রভাবে শেষ ওভারে ফিনিশিংটা টাচটা তারা দিতে পারেনি। রাজস্থান শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে থামে ১৭৮ রানে।         

৩৭ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা আবেশ খান। একটি করে নিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর ও এইডেন মারক্রাম। 

শুরুতে টস জিতে এইডেন মারক্রামের ৬৬ ও আইয়ুশ বাডোনির ৫০ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮০ রানের সংগ্রহ গড়ে লখনউ। মারক্রামের ৪৫ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়। বাডোনির ৩৪ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছয়। তাছাড়া শেষ দিকে আব্দুল সামাদের ১০ বলে খেলা ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস স্কোর বাড়াতে ভূমিকা রাখে। সামাদের ইনিংসে ছিল ৪টি ছয়। 

রাজস্থানের হয়ে ৩১ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।