তরুণদের নিয়েই বাংলাদেশকে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে জিম্বাবুয়ে

সম্প্রতি লাল বলের ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের খুব একটা সাফল্য নেই। ২০২১ সালের মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটে জেতার পর থেকে দশটি টেস্ট খেললেও জিততে পারেনি। আটটি হার ও দুটি ড্র। জয়খরা কাটানোর মিশনে এখন তারা বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার সিলেটের আউটার স্টেডিয়ামে প্রথম ট্রেনিং সেশন করেছে আফ্রিকানরা। তরুণ একটি দল নিয়ে বাংলাদেশ বধের চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে জিম্বাবুয়ানরা।

বর্তমান স্কোয়াডের ১০ বা তার বেশি টেস্ট খেলেছেন কেবল অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন (২৩ টেস্ট), শন উইলিয়ামস (১৭) ও ব্লেসিং মুজারাবানির (১০)। প্রতিশ্রুতিশীল ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট উপহার দিতে পারেন বেন কারান, ব্রায়ান বেনেট, জোনাথন ক্যাম্পবেল ও এনগারাভার মতো খেলোয়াড়রা।

দলকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় উইলিয়ামস। পিঠের ইনজুরিতে গত ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলতে পারেননি তিনি। দেশের একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিককে ৩৮ বছর বয়সী তারকা বললেন, ‘হ্যাঁ, এটা তরুণ দল। আশঅ করি, তারা আরেকটু বেশি নির্ভীক ও চতুর হবে। টেস্ট ক্রিকেট বিকশিত হচ্ছে। খেলোয়াড়রা দ্রুত রান করছে, নতুন কিছুর চেষ্টা করছে। ট্যাকটিক্যালি এখন টেস্ট ক্রিকেটে অনেক কিছু হচ্ছে। এই তরুণরা কী করতে পারে সেটা দেখতে পারা হবে রোমাঞ্চকর।’

সিরিজ ভালোভাবে শুরু করাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন উইলিয়ামস। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের ভাগ্য পাল্টাতে আশাবাদী তিনি। শেষবার তারা বাংলাদেশে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ২০১১ সালে। আর সবশেষ বাংলাদেশকে তারা টেস্টে হারিয়েছিল ২০১৮ সালে। সিলেটেই ১৫১ রানে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। রবিবার সেখানেই শুরু হচ্ছে সিরিজ।

উইলিয়ামস বললেন, ‘আমি মনে করি এটা নির্ভর করছে প্রথম ইনিংস কেমন হবে তার ওপর। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সবসময় জেতার জন্য খেলি। দুই টেস্টের আগের প্রস্তুতি হবে গুরুত্বপূর্ণ।’  

প্রধান কোচ জাস্টিন স্যামন্স বলেছেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের যে খেলোয়াড়রা আছে, তারা সত্যিই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে এবং সিরিজ জিতে দেশে ফিরবে।’