মোহামেডানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে রূপগঞ্জের বড় জয়

৯ বছর পর আবাহনীকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে বৃহস্পতিবার মাঠে নেমেছিল মোহামেডান। কিন্তু মাঠে নেমে হতাশাজনক পারফরম্যান্স এসেছে দলটির কাছ থেকে। এমনিতেই জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট সিরিজের জন্য বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে হারিয়ে খর্বশক্তির দলে পরিণত হয়েছে দলটি। তার প্রভাবও পড়েছে দলীয় পারফর‌ম্যান্সে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। 

বৃষ্টির কারণে রূপগঞ্জের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২ ওভারে ৯৪ রান। সেই রান মাত্র ১৩.২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলে তারা। তাতেই ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৯ উইকেটে হার মানে মোহামেডান।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বৃষ্টির আগেই মোহামেডানের যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে যায়। তারা ২৯.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তোলে। এরপর বৃষ্টির কারনে চার ঘণ্টা খেলা বন্ধ ছিল। লম্বা সময় খেলা বন্ধ থাকার কারণে ম্যাচ রেফারি ডিএল পদ্ধতিতে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন।

রূপগঞ্জের জন্য ২২ ওভারে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯৩ রান। সৌম্য-সাইফ হাসানরা খুব সহজেই সেই লক্ষ্যটা ছুঁয়ে ফেলে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে। 

শুরুতেই তানজিদ হাসান তামিমকে ফিরিয়েছিল মোহামেডান। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ ও সৌম্য মিলে অবিচ্ছিন্ন ৭৭ বলে ৯৪ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। সাইফ ৪৪ বলে ৫৫ এবং সৌম্য ৩৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। একমাত্র উইকেটটি নেন মোহামেডানের নাসুম আহমেদ।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া মোহামেডান শুরুতেই চাপে পড়ে যায়। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান দারুণ বোলিং করে চাপ তৈরি করেন। সেই চাপ আরও বাড়ান তানভীর ইসলাম। মোহামেডানের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন আনিসুল ইসলাম। পুরো মৌসুমে হতাশা উপহার দিয়ে আসছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। আজ খেলেছেন ২১ বলে ১২ রানের ইনিংস। 

রূপগঞ্জের বোলারদের মধ্যে তানভীর তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন। রিজওয়ান নেন দুটি উইকেট। শরিফুল ইসলাম ও টিপু সুলতান একটি করে উইকেট শিকার করেন।