আইপিএলে ব্যাট মেপে দেখতে আম্পায়ারদের কড়াকড়ি 

ব্যাটের মাপ নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে আইপিএল। ব্যাটের মাপে নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সর্বশেষ গত সপ্তাহে আইপিএল আম্পায়ারদের সাপ্তাহিক পর্যালোচনামূলক মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ইনিংস শুরুর আগে এখন থেকে প্রতি ব্যাটারের ব্যাট গজ টেস্টের মধ্য যেতে হবে। যার মাধ্যমে ব্যাটের জন্য বেঁধে দেওয়া মাপ ঠিক আছে কিনা সেটা যাচাই করা হয়ে থাকে। 

নতুন নিয়মের ফলে ওপেনাররা মাঠে নামার আগেই চতুর্থ আম্পায়াররা সেটা পরীক্ষা করে দেখবেন। পরবর্তী ব্যাটারদের বেলাতেও থাকবে একই নিয়ম। তাদের বেলায় মাঠের আম্পায়াররা সেটা পরীক্ষা করবেন। 

আগের নিয়মের থেকে এটা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। তখন ম্যাচ শুরুর আগে ড্রেসিং রুমে চতুর্থ আম্পায়ার ব্যাট পরীক্ষা করতেন। 

এমন সিদ্ধান্ত টুর্নামেন্টের মাঝপথে নেওয়ার কারণ আছে। চলতি মৌসুমে অনেক খেলোয়াড়ই ব্যাট নিয়ে ডিফল্টার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। কিছু দলের মধ্যে ব্যাপক সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে, প্রতিপক্ষের কিছু ব্যাটার নিয়মের চেয়ে বড় ব্যাট ব্যবহার করছেন, বিশেষ করে ব্যাটের মোটা অংশে। 

সর্বশেষ বিতর্কের জন্ম নিয়েছে মঙ্গলবার। মাঠে গজ টেস্ট চালু হওয়ার দুই দিন পর পাঞ্জাব কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচে এই পরীক্ষায় ব্যর্থ হন দুই ব্যাটার সুনীল নারিন ও আইনরিখ নর্কিয়া। 

বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ব্যাটের মূল অংশটি নিম্নলিখিত মানদণ্ডের মধ্যে থাকতে হবে- প্রস্থ ৪.২৫ ইঞ্চি, গভীরতা ২.৬৪ ইঞ্চি ও ধারের পুরুত্ব ১.৫৬ ইঞ্চি। ব্যাটটি অবশ্যই নির্ধারিত গজের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। রয়েছে আরও কিছু নির্দেশনাও। 

দলগুলোকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে, এখন থেকে মাঠে নামার আগে আম্পায়াররা ব্যাট পরীক্ষা করবেন। কোনও দল তাতে আপত্তি করেনি। 

এদিকে, খেলোয়াড়দের উদযাপনে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে আম্পায়ারদের নমনীয় হতে বলা হয়েছে। কারণ লখনউ সুপার জায়ান্টসের দিগ্বেশ রাঠিকে তার নোটবুক উদযাপানের জন্য চলতি মৌসুমে শাস্তি দেওয়া হয়েছে দু’বার। যার জন্য আম্পায়ারদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। 

তবে অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রে আম্পায়ারদের ভূমিকা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমিত করা হয়েছে। এখন তারা আর ‘ফ্রন্টফুট নো বল’ পরীক্ষা করেন না। তাদের আরও বলা হয়েছে, ব্যাটসম্যান নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে রান আউট কিংবা ফিল্ডিংয়ে ব্যাঘাত ঘটালে অধিনায়ককে আপিল প্রত্যাহারের জন্য আর জিজ্ঞেস করতে হবে না। আগে এসব ক্ষেত্রে অধিনায়করা আপিল প্রত্যাহার করবেন কিনা- সেটা জানতে আম্পায়াররা এগিয়ে আসতেন।