পঞ্চগড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি বাজারের নাম মৌমারি। সেখানকার দোকানে টিভিতে মোস্তাফিজের বোলিং দেখেই পেসার হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু শরিফুল ইসলামের। ২০১৫ সালে (মিরপুরে) মোস্তাফিজ যখন ভারতের বিপক্ষে একের পর এক উইকেট নিয়ে স্তব্ধ করে দিচ্ছিলেন প্রতিবেশী দেশটির শতকোটি ক্রিকেটপ্রেমীকে, শরিফুলের তখন চোখ ছিল টেলিভিশনের পর্দায়। গ্রামে বিদ্যুৎ নেই, টেলিভিশন নেই। কিন্তু মোস্তাফিজের সেই বোলিং শরিফুল দেখেছিলেন বাড়ি থেকে ২০ মিনিট দূরের মৌমারি বাজারের এক দোকানে! এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেওয়া শরিফুল এবার নিজের গ্রাম আর আশপাশের এলাকার মানুষের কথা ভাবলেন। নিজের জেলা পঞ্চগড়ে একটি হাসপাতাল চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। সেই পোস্টে তুলে ধরেছেন, পঞ্চগড়ের মানুষের দুর্ভোগের কথা।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শরিফুল লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি যখন ছোট ছিলাম, পঞ্চগড়ের এই মাটিতে; বড় হতে হতে অনেক সুন্দর মুহূর্তের সাথে এমন কিছু কঠিন সময়ও দেখেছি, যা আজও আমাকে ব্যথিত করে। আমার চোখের সামনেই গুরুতর অসুস্থ মানুষদের রংপুর বা দিনাজপুর নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যেতে দেখেছি। কারণ পঞ্চগড়ে এমন কোনও বড় হাসপাতাল নেই, যেখানে তারা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পেতে পারতো।’
শরিফুল আরও লিখেছেন, ‘আজও পঞ্চগড়বাসী সেই একই দুর্ভোগের মুখোমুখি। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের রংপুর বা দিনাজপুরে ভালো চিকিৎসার জন্য যেতে ৩-৪ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। অনেক সময় এই দীর্ঘ যাত্রাপথ রোগীদের জন্য হয়ে ওঠে মৃত্যুর কারণ। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য পঞ্চগড়ে একটি ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। এটি শুধু রোগীদের জীবন বাঁচাবে না, বরং পঞ্চগড়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।