শাস্তি বাড়লো তাওহীদের, মোহামেডানের আপিল

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে প্রাথমিকভাবে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। সঙ্গে পেয়েছিলেন ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট। কিন্তু ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র সমালোচনা এবং অশোভন ভাষা ব্যবহারের কারণে তার শাস্তি বেড়ে নিষেধাজ্ঞা হয়েছে দুই ম্যাচের। এছাড়া তিনটি ডিমেরিট পয়েন্টের সাথে ৮০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। 

এদিকে, তার নিষেধাজ্ঞা কমাতে লিগের আয়োজক সিসিডিএমের কাছে আবেদন করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সুপার লিগে শুরুর দুই ম্যাচে মোহামেডান তাদের অধিনায়ককে না পেলে নিশ্চিতভাবে বড় ধাক্কা খাবে দলটি।

সেই ম্যাচের ঘটনাটা আবাহনীর ইনিংসের অষ্টম ওভারের। এবাদত হোসেনের বলটি ব্যাটে-বলে সংযোগ করতে পারেনি মোহাম্মদ মিঠুন। মোহামেডানের ফিল্ডাররা জোরালো আবেদন করেন। তাতে সাড়া দেননি ফিল্ড আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম, তাওহীদ হৃদয়রা। সেই সময় বেশ কিছুক্ষণের জন্য উত্তেজনা ছড়ালে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরেক ফিল্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত এগিয়ে আসেন। তখনই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেন তাওহীদ হৃদয়। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল সেসব জানা যায়নি, তবে উত্তেজনার বিষয়টি স্পষ্ট ছিল। শুধু এই সময়ই নয়, পুরো সময়টাতেই আম্পায়ারদের সঙ্গে উত্তেজনা দেখান মোহামেডানের ক্রিকেটাররা।

এই আচরণে হৃদয়কে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞাসহ ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল। বিষয়টি সেখানেই থামেনি। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমে হৃদয় ফের আম্পায়ারদের সমালোচনা করেন।  শরফুদ্দৌলার উদ্দেশ্যে হৃদয় বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ভুলটা স্বীকার করা উচিত, আমি যদি ভুল করি আমিও স্বীকার করবো। কিন্তু আপনি যদি ভুল স্বীকার না করে বলেন এটা ভুল না, তাহলে হবে না। সে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার তাকে আমরা সম্মান করি, আমরাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এখানে যারা ছিল বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে, তাই এমন ম্যাচে দুই-একটা ডিসিশন অনেক বড় ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। যদি আবার হিতে অন্যদিকে যায়, আমি মুখ খুলবো ইনশাল্লাহ।’

আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী, ম্যাচ-পরবর্তী এমন মন্তব্য লেভেল ২-এর ২.৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে রেফারির দ্বিতীয় দফা রিপোর্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিসিবির আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার মিঠু গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তাওহীদ হৃদয়ের এমন আচরণ অত্যন্ত হতাশাজনক। তিনি জাতীয় দলের খেলোয়াড়, তার কাছ থেকে শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণ প্রত্যাশিত। আইসিসি প্যানেল ও এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের সঙ্গে এমন অসংলগ্ন আচরণ আমরা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারি না। ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন আচরণ না করে।’