দিল্লিকে প্রথম হারের স্বাদ দিলো মুম্বাই

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে প্রতিপক্ষের ওপর ত্রাস ছড়ানো দিল্লি ক্যাপিটাল হোঁচট খেয়েছে আইপিএলে। রোমাঞ্চকর ম্যাচে তাদের প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রবিবার আগে ব্যাটিং করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ২০৫ রান করে। জবাবে দিল্লি ক্যাপিটালস ভালো শুরুর পরও খেই হারিয়েছে। মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৯৩ রানে থেমেছে দিল্লি। তাতে করে ১২ রানের স্বস্তির জয় পেয়েছে মুম্বাই। 

আগের ৫ ম্যাচের একটিতে জয় পাওয়া মুম্বাইয়ের রেসে টিকে থাকতে হলে জয়ের প্রয়োজন ছিল। শেষ অব্দি দুই ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেলো দলটি।  ৫ ম্যাচে দুই জয়ে মুম্বাই আছে পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে। ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে দিল্লির।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুম্বাইয়ের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম বলেই জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে হারায় দিল্লি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে করুণ নায়ার ও অভিষেক পোড়েল মিলে ১১৯ রানের জুটি গড়েন। দারুণ এই জুটির পরও ম্যাচ জিততে পারেনি দিল্লি। কারণ আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন বাকি ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে দিল্লি ১৯৩ রানে অলআউট হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটে হারিয়ে যাওয়া করুণ নায়ার খেলেছেন ৮৯ রানের ইনিংস। ৫৭ বলে ১২ চার ও ৫ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। এছাড়া অভিষেক খেলেন ৩৩ রানের ইনিংস। 

মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে কর্ণ শর্মা সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরাও তিনি। দুটি উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার।

এর আগে  টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মুম্বাই ৫ উইকেটে তোলে ২০৫ রান। বড় সংগ্রহের নেপথ্যে ছিলেন ওপেনার রয়ান রিকেলটন। ২৫ বলে ৪১ রান করেন তিনি। যে ঝড় শুরুতেই তুলে দেন রিকেলটন, সেটা গোটা ইনিংসে ধরে রাখেন সূর্যকুমার যাদব। তিনি খেলেছেন ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস। এরই ধারাবাহিকতায় তিলক ভার্মা ৩৩ বলে ৫৯ রান এবং নমন ধীর ১৭ বলে ৩৮ রান করে দলের স্কোরকে ২০৫ রানে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখেন।

দিল্লির বোলারদের মধ্যে বিপ্রজ নিগম ও কুলদীপ যাদব দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।