বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিন ও মঈন আলীর স্পিনে চেন্নাই সুপার কিংস ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি দেখলো। তিন স্পিনারের স্পিন বিষে পাঁচবারের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা চেপুকে ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন রানে আটকে গেলো। তারপর ১১তম ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথমবার এক মৌসুমে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচ হার দেখলো চেন্নাই।
রুতুরাজ গায়কোয়াড় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ায় চেন্নাইয়ের নেতৃত্বে ফিরেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু মুহূর্তটা স্মরণীয় করতে পারেননি। বরং ব্যাটিং লজ্জায় থামতে হয়েছে ৯ উইকেটে ১০৩ রানে।
কলকাতার তিন স্পিনার ১২ ওভার বল করে ৫৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট ভাগাভাগি করেছেন। বলে গতি তুলে হার্ষিত রানা দুটি উইকেট নিয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
লক্ষ্যে নেমে নারিনের ব্যাটিং ঝড়ে ১১তম ওভারের প্রথম বলে ৮ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে কলকাতা। ২ উইকেটে ১০৭ রান করে তারা। ১৮ বলে ২ চার ও ৫ ছয়ে ৪৪ রান করেন নারিন।
টসে জিতে আগে ব্যাটিং নেন ধোনি। ১৪ রানে ২ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে উঠেছিল তার দল। বিজয় শঙ্কর ও রাহুল ত্রিপাঠীর ৪৩ রানের জুটি ভাঙতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে চেন্নাই। ২ উইকেটে ৫৯ রান করা দলটি ৭৯ রানেই হারায় ৯ উইকেট। আইপিএলে ক্লাব ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা এড়াতে পারলেও তা জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। শিবম দুবে অপরাজিত ৩১ রান করে দলীয় স্কোর একশ পার করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন বিজয়।
কলকাতার পক্ষে নারিন সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে। হার্ষিত ও বরুণ দুটি করে উইকেট পান। একটি নেন মঈন।
১০৪ রানের লক্ষ্যে নেমে কুইন্টন ডি কক ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ২৩ রান করেন। তার সঙ্গে ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়া নারিন ৬ রানের জন্য ফিফটি করতে পারেননি। তবে তার ঝড়ো ইনিংসে জয় তরান্বিত হয়েছে। আজিঙ্কা রাহানে ২০ ও রিংকু সিং ১৫ রানে অপরাজিত থেকে কলকাতাকে তৃতীয় জয় এনে দেন।
বল ও ব্যাটে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নারিন।
হার দিয়ে আইপিএল শুরু করা কলকাতা এক ম্যাচ পর জয়ে ফিরলো। তাতে ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে গেলো তারা। চেন্নাই সমান খেলে টানা পঞ্চম হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে।