রাহুল ঝড়ে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে দিল্লির চারে চার

পঞ্চম ওভার শেষ হতে তখনও তিন বল বাকি। অভিষেক পোরেলের বিদায়ে ৩০ রানে নেই দিল্লি ক্যাপিটালসের তিন উইকেট। তার আগের ওভারে রজত পতিদারের হাত ফসকে ৫ রানে জীবন পান রাহুল। 

অল্প পুঁজি গড়েও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পেরেছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু রাহুলের ক্যাচ ছাড়াই হয়তো তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো। মাশুল দিতে হলো ৬ উইকেটে হেরে।

আইপিএলে একক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি হারের বিব্রতকর রেকর্ড গড়লো বেঙ্গালুরু। নিজ মাঠেই তারা হারলো ৪৫তম ম্যাচ।

ট্রিস্টান স্টাবস ও রাহুলের শতাধিক রানের জুটিতে ১৩ বল বাকি থাকতে জিতে গেছে দিল্লি। তার আগে ৩৭ বলে টানা দ্বিতীয় ফিফটির দেখা পান দিল্লি অধিনায়ক। ৫৩ বলে ৯৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি, ছিল সাত চার ও ছয় ছক্কা। ২৩ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন স্টাবস।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলি ঝড় তোলেন। ৩.৫ ওভারে ৬১ রান তুলে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় বেঙ্গালুরু। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে রানের চাকাও থমকে যায়। 

শেষ দিকে টিম ডেভিড ২০ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৩৭ রান করে স্কোরবোর্ডে সম্মানজনক সংগ্রহ করেন। তার আগে সমান রান করেন ওপেনার সল্ট। ইনিংস শেষ করেছে তারা ৭ উইকেট হারিয়ে। ১৬৩ রান তোলে বেঙ্গালুরু।

ভিপরাজ নিগাম ও কুলদীপ যাদব দিল্লির পক্ষে সর্বোচ্চ ‍দুটি করে উইকেট নেন।

লক্ষ্যে নেমে দিল্লি টপ অর্ডারে ধস সামলে নেয়। তারপর রাহুল ও স্টাবস দিল্লির পঞ্চম উইকেটে রেকর্ড ১১১ রানের অবিচ্ছিন্ন ‍জুটি গড়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছান। ১৭.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৯ রান করে তারা। 

ছয় উইকেটে জিতে এই আসরে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল দিল্লি। চার ম্যাচের সবগুলো জিতে ৮ পয়েন্ট তাদের। তবে শীর্ষে উঠা হয়নি। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে এক নম্বরে গুজরাট টাইটান্স। পাঁচ ম্যাচে দ্বিতীয় হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বেঙ্গালুরু তিন নম্বরে।