সোহানের ৩ রানের আক্ষেপ, বিফলে গেলো নাসিরের ৭৭ রান

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে রূপগঞ্জ টাইগার্সের জার্সিতে পেশাদার ক্রিকেটে ফিরেছেন নাসির হোসেন। প্রথম ম্যাচে আহামরি পারফরম্যান্স না করতে পারলেও তিনি দ্বিতীয় ম্যাচে জ্বলে উঠেছেন। ব্যাট হাতে ৭৭ রানের ইনিংসের পর বল হাতে একটি উইকেট নেন নাসির। যদিও তার এই পারফরম্যান্স ম্লান করে দেন ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তার ৯৭ রানে চড়ে ৫ উইকেটে জেতে ধানমন্ডি ক্লাব। দলকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হন অধিনায়ক।

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান সংগ্রহ করে রূপগঞ্জ। জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা দারুণ করে ধানমন্ডি ক্লাব। ওপেনিং জুটিতে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৮। ব্যক্তিগত ৪০ রান করে আজমির আহমেদ ফিরতেই জুটি ভাঙে ওপেনিংয়ে। সঙ্গীকে হারিয়ে হাবিবুর রহমানও (৩৩) দ্রুত বিদায় নেন। তৃতীয় উইকেটে ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও সোহান ১০৮ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেন। ৭৭ বলে ৪৭ রান করে ফজলে রাব্বি আউট হলে গুরুত্বপূর্ণ এই জুটি ভাঙে। 

এরপর সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে আউট হয়ে যান সোহানও। ৯৫ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৯৭ রান করে আউট হন অধিনায়ক। তার বিদায়ের পর বাকি পথটা অনায়াসেই পাড়ি দেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও মইন খান। রাব্বি ৫৫ ও মইন ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ধানমন্ডি ক্লাব ৪৭.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে। যদিও এই জয়েও সুপার লিগে খেলার সুযোগ হচ্ছে না ক্লাবটির।

রূপগঞ্জের হয়ে নুইয়ায়েল সানদিদ ৬৫ রানে তিনটি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া নাসির ও জীবন একটি করে উইকেট পান।

এর আগে রূপগঞ্জ ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান করে। সর্বোচ্চ ৭৭ রান আসে নাসিরের ব্যাট থেকে। ৮৪ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান। এছাড়া আব্দুল্লাহ আল গালিব ৬৫, আরিফুল হক ৪৮ রান করেছেন।

ধানমন্ডি ক্লাবের বোলারদের মধ্যে ফজলে রাব্বি ৫৯ রানে তিনটি উইকেট শিকার করেন। এর বাইরে এনামুল হক আনাম, মইন খান, সানজামুল ইসলাম ও জিয়াউর রহমান প্রত্যেকে একটি করে উইকেটের দেখা পান।