অধিনায়ক তামিম হাসপাতালে, মাঠে মোহামেডানের দাপট

টস করে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন তামিম ইকবাল। পরবর্তীতে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নেওয়া হয় মোহামেডান অধিনায়ককে। তামিম হাসপাতালে গেলেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শাইনপুকুর ও মোহামেডানের মধ্যকার ম্যাচটি চলমান ছিল। অধিনায়কহীন হয়েও ম্যাচে দাপট দেখিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান। শাইনপুকুরকে ২২৩ রানে অলআউট করে ৪২.২ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা। তামিমের বদলে ওপেনিংয়ে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ সেঞ্চুরি করে মোহামেডানের জয়ের নায়ক হয়েছেন। ব্যাট-বলে দারুণ পারফর্ম করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। 

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শাইনপুকুরের কাছে টসে হেরে যান তামিম ইকবাল। টস করে ড্রেসিংরুমে ফিরতে ফিরতেই কেমন যেন অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন তিনি। দলের ম্যানেজার শিপনসহ সতীর্থ ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তারা অবস্থা দেখে ধারণা করেন, হয়তো হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তাৎক্ষণিক তামিমকে স্থানীয় কেপিজে (সাবেক ফজিলাতুন্নেছা) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাৎক্ষণিক তার এনজিওগ্রাম করে হার্টে ব্লক রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই অবস্থায় মাঠের খেলা বন্ধও থাকে কিছুক্ষণ। 

পরে খেলা শুরু হলে ব্যাটিংয়ে নেমে শাইনপুকুর খুব বেশি সংগ্রহ পায়নি। ৪৯.৫ ওভারে জমা করে ২২৩ রান। জবাবে তামিমকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকাতে মোহামেডানের ইনিংসের গোরাপত্তন করেন রনি তালুকদার ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দু’জন মিলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ১৬৪ রান। রনি ৮৬ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে আউট হলে ভাঙে শুরুর জুটি। মিরাজ অবশ্য ওপেনিং সুযোগ পেয়ে খুব ভালো ভাবেই সেটি কাজে লাগিয়েছেন। পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ৮৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ততক্ষণে জয়ের ভিতটা তৈরি হয়ে গেছে। ৩৩ বলে ২৭ রান করে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন আউট হলে সাইফউদ্দিন (১৮) ও নাসুম আহমেদ (১৩) মিলে ৩ উইকেট হারিয়ে মোহামেডানকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন। শাইনপুকুরের বোলারদের মধ্যে রাহিম আহমেদ দুটি ও রাফিউজ্জামান রাফি একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শাইনপুকুরের। রায়হান রাফসানের ৭৭ ও শরিফুল ইসলামের ৫৭ রানে ভর করে ২২৩ রানের সংগ্রহ করে। বাকি ব্যাটারদের বেশিরভাগই সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হয়েছেন। 

মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম ৪৪ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া এছাড়া নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাইফ উদ্দিন প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট শিকার করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।