তাসকিনকে নয়, শার্দুলকে বেছে নিয়েছে লখনউ

গত কয়েক বছর ধরেই আইপিএলে তাসকিন আহমেদের খেলা নিয়ে নাটক কম হয়নি। বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও অনাপত্তিপত্রের জন্য খেলতে যেতে পারেননি। এবার যখন অনাপত্তিপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে বিসিবি ঐক্যে পৌঁছেছিল, তখন আবার দল পাননি ডানহাতি এই পেসার। তবু আশা ছিল শেষ মুহূর্তে আইপিএলে কোন না কোন দল তাকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে দলে ভেড়াবে। গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন, তাসকিনকে নাকি আইপিএলের একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে চায়। একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজিরে মধ্যে এই মুহূর্তে লখনউ সুপার জায়ান্টস অবশ্য তাসকিনকে দলে নেয়নি, নিয়েছে শার্দুল ঠাকুরকে।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই লখনউর তিন-চারজন ভারতীয় পেসার চোট নিয়ে ধুঁকছেন। এর মধ্যে মায়াঙ্ক যাদব তো অর্ধেক মৌসুম মিস করতে পারেন। তাছাড়া মহসিন খান, আকাশ দীপ এবং আবেশ খানরাও পুরোপুরি ফিট নন। তাই বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল লখনউ। গত শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর এক হোটেলে ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে ইফতার শেষে সংবাদমাধ্যমকে তাসকিন বলেছিলেন, ‘লখনউ সুপার জায়ান্টস আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা জানতে চেয়েছে, যদি বদলি হিসেবে নিতে চায়, তাহলে আমি খেলতে পারব কি না এবং বিসিবি এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দেবে কি না। আমি তাদের জানিয়েছি, আমাদের যদি সুযোগ আসে, বিসিবির পক্ষ থেকে এনওসি নিয়ে এবার কোনও সমস্যা হবে না।’

তবে তাসকিনের আশ্বাসে বোধ হয় ভরসা পায়নি লখনউ। শেষ মুহূর্তে মোস্তাফিজুর রহমানের সাবেক সতীর্থকে দলে ভিড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। শনিবার আইপিএলের উদ্বোধনী দিনে চোটগ্রস্ত পেসার মহসিন খানের পরিবর্তে দলটি দলে ভিড়িয়েছে সবশেষ মৌসুমে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে খেলা শার্দুল ঠাকুরকে। ২ কোটি রুপির ভিত্তি মূল্যে দলে নেওয়া হয়েছে এই ক্রিকেটারকে। শনিবার বিকালে ফিটনেস রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সই করানো হয়েছে তাকে। তিনি গতিময় বোলিংয়ের পাশাপাশি লোয়ার অর্ডারে ভালোই ব্যাট চালাতে পারেন। এখন পর্যন্ত আইপিএলে ৯৫টি ম্যাচ খেলে ৯৪ উইকেট নিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর। এর আগে পাঁচটি ভিন্ন দলের হয়ে তাকে খেলতে দেখা গেছে (পাঞ্জাব কিংস, রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টস, দিল্লি ক্যাপিটালস, চেন্নাই সুপার কিংস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স)। এবারই প্রথম খেলবেন লখনউ সুপার জায়ান্টসে।

লখনউ শার্দুলকে দলে ভেড়ানোতে আপাতত তাসকিনের অপেক্ষায় থাকা ছাড়া কিছু করার নেই।