রিকেল্টনের সেঞ্চুরিতে ১০৭ রানের বড় জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

পাকিস্তানের করাচিতে রায়ান রিকেল্টনের সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে রানের রেকর্ড গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ৩১৫ রান তুলেছে প্রোটিয়ারা। জবাবে খেলতে নেমে আফগানিস্তানের ইনিংস থেমে যায় ২০৮ রানে। মাত্র ৪৩.৩ ওভারে অলআউট হলে দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৭ রানের বড় ব্যবধানে জয় লাভ করে।

করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের দেওয়া ৩১৬ রানের পাহাড়সহ লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে আফগানদের। ওই শুরু, এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে আসা দলটি। মিডল অর্ডার ব্যাটার রহমত শাহই একমাত্র লড়াই করেছেন। চার নম্বরে নেমে রহমত শাহ শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন। তার আউটে ৪৩.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০৮ রানে থামে আফগানদের ইনিংস। রহমত শাহ ৯২ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় সাজান তার ৯০ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রানের দুটি ইনিংস আসে আজমতউল্লাহ ওমরযাই ও রশিদ খানের ব্যাট থেকে।

প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে কাগিসো রাবাদা ৩৬ রানে নেন তিনটি উইকেট। এ ছাড়া ওয়াইন মুল্ডার, লুঙ্গি এনগিডি প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। যদিও ওপেনিং জুটি খুব বড় হয়নি দলটির। ষষ্ঠ ওভারেই মোহাম্মদ নবীর বলে ভাঙে ২৮ রানের ওপেনিং জুটি। ১১ রানে ফেরেন টনি ডি জর্জি। দ্বিতীয় উইকেটে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। বাভুমা ও রিকেল্টনের ১২৯ রানের জুটি গড়ে দলের স্কোরকে দেড়শতে নিয়ে যান। ২৯ তম ওভারে এবারও আফগানিস্তানকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন নবী। ৭৬ বলে ৫৮ রান করে আউট হন প্রোটিয়া অধিনায়ক।

বাভুমা ফিরলেও রিকেল্টন তুলে নিয়েছেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরি। ৩৬ তম ওভারে রশিদ খানের বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন। তার আগে ১০৬ বলে ৭ চার ও  ১ ছক্কায় ১০৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর ডুসেন ৪৬ বলে ৫২ ও মার্করাম ৩৬ বলে ৫২ রানে অপরাজিত ইনিংস খেললে  দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৬ উইকেটে ৩১৫ রানের বড় স্কোর।

আফগান বোলারদের মধ্যে ৫১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন নবী। এছাড়া ফজল হক ফারুকী, নূর আহমেদ ও আজমতউল্লাহ ওমরযাই নেন একটি করে উইকেট।