লম্বা সময় ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে রান খরায় ভুগছেন লিটন দাস। সবশেষ ৫ ওয়ানডের ৩টিতে রানের খাতা খুলতে পারেননি। শেষ ৭ ওয়ানডে ইনিংসেও যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। সবশেষ ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি করেছেন ২০২৩ বিশ্বকাপে; সেঞ্চুরিও পেয়েছেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। বিপিএলেও প্রত্যাশা মেটাতে পারছিলেন না। তবে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে রানে ফিরছিলেন। গতকালতো দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে বিস্ফোরক সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। এমন ইনিংস খেলার পর লিটন জানালেন, কেন তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নেওয়া হয়নি।
সাদা বলের ক্রিকেটে অফফর্ম ও আউট হওয়ার ধরন দেখেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে লিটনকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। রবিবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে অনেক কথার ভিড়ে উঠে এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লিটনের বাদ পড়ার প্রসঙ্গটি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে টপ অর্ডার ব্যাটার বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিষয়টি আমার হাতে নেই। কী কারণে বাদ গেছি এটা সবাই জানে। আমার পারফরম্যান্স খারাপ ছিল, তাই আমাকে রাখে নাই। আমার কাজ পারফর্ম করা। চেষ্টা করবো সেটা ধারাবাহিক করতে। কেন বাদ পড়েছি সেটা জানি। বাংলাদেশের সবাই আঁচ করেছে, আমি হয়তো বাদ পড়ব।’
আরও এক প্রশ্নে লিটন বলেছেন, ‘কী কারণে রাখা হয়নি, এটা মিডিয়া দেখলেই পাওয়া যায়। আপনি যদি দেখেন যে কী কারণে আমি বাদ পড়েছি, আমার পারফরম্যান্স ছিল না। আপনারাই নিউজ করেছেন। এটা ওপেন। এটা না জানার কিছু নাই।’
ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে প্রথম চার ম্যাচে ৪২ রান করেছেন লিটন। পঞ্চম ম্যাচে ঢাকার একাদশ থেকেই বাদ পড়েন। এরপর সিলেটের বিপক্ষে খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। রবিবার রাজশাহীর বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে বিপিএলের রেকর্ড বই উলটপালট করে দিয়েছেন তিনি। ১০ চার ও ৯ ছক্কায় ৫৫ বলে অপরাজিত ১২৫ রান করেছেন। পর পর দুই ইনিংসেই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় দুইয়ে উঠে এসেছে তার নাম।
নিজের ইনিংস নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘আমি সবসময় একটা কথা বলি, আজকের দিনটা ইতোমধ্যেই অতীত। ক্যারিয়ারে একটা ভালো ইনিংস হয়তো খেলেছি। কিন্তু পরের ম্যাচে আবার আমাকে শূন্য থেকেই করতে হবে। ব্যাক অব মাইন্ডে এটাই থাকবে যে আবার নতুন করে আমার ইনিংস গোছাতে হবে। পরিশ্রম করবো... দেখা যাক কী হয়।’