চট্টগ্রাম টেস্ট

ইনিংসে হার, বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছে দ.আফ্রিকা

স্কোর: দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৩.৪ ওভারে ১৪৩/১০ ( হাসান ৩৮*; সাদমান ৬, জয় ১১, মুমিনুল ০, জাকির ৭, মুশফিক ২, মিরাজ ৬, শান্ত ৩৬, তাইজুল ১, মাহিদুল ২৯, রানা ০)

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ২৭৩ রানে জয়ী। 

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৫.২ ওভারে ১৫৯/১০ ( রানা ০*; সাদমান ০, জাকির ২, জয় ১০, হাসান ৩, শান্ত ৯, মুশফিক ০, মিরাজ ১, মাহিদুল ০, মুমিনুল ৮২, তাইজুল ৩০)

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৪.২ ওভারে ৫৭৭/৬ (মুথুসামি ৭০*, মুল্ডার ১০৫*; মারক্রাম ৩৩, স্টাবস ১০৬, বেডিংহ্যাম ৫৯, ডি জর্জি ১৭৭, ভেরেইন ০, রিকেলটন ১২)

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে প্রোটিয়াদের কাছে হেরেছে ইনিংস ও ২৭৩ রানের ব্যবধানে। তাতে দুই টেস্ট সিরিজে স্বাগতিকরা ২-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। 

প্রথম ইনিংসের মতো বাংলাদেশের ব্যাটিংটা বাজে ছিল দ্বিতীয় ইনিংসেও। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল ৮২ রানে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বলার মতো তেমন কিছুই ছিল না। সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে পেসার হাসান মাহমুদের কাছ থেকে। ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। শান্ত করেছেন ৩৬ রান। মাহিদুলের ব্যাট থেকেও আসে ২৯ রানের ইনিংস। নবম উইকেটে মাহিদুল-হাসান মাহমুদের জুটিটা না হলে বাংলাদেশের ইনিংস আরও আগেই শেষ হতে পারতো। হাসান ৪ ছক্কায় বিনোদন দেওযার চেষ্টা করলেও বাংলাদেশ ৪৩.৪ ওভারে ১৪৩ রানে গুটিয়ে গেছে। 

দ্বিতীয় ইনিংসে ফাইফার পূরণ করেছেন বামহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ। ৫৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৪৫ রানে ৪টি নিয়েছেন সেনুরান মুথুসামি। একটি নিয়েছেন প্যাটারসন।      

লড়াই করে ফিরলেন মাহিদুল

অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফিরেছেন মাহিদুল। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য লেজের দিকে লড়াই করেছেন তিনি। হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ৩৭ রান যোগ করেছেন তিনি। তাকে ব্যক্তিগত ২৯ রানে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভেঙেছেন মহারাজ। রাবাদাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মাহিদুল।  

দ্বিতীয় ইনিংসে বেশিক্ষণ টিকলেন না তাইজুল 

প্রথম ইনিংসে লড়াই করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তাইজুল ইসলামের লড়াই। ১৪ বল খেলেই ১ রানে মহারাজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। পড়েছে অষ্টম উইকেট। 

শান্তর বিদায়ে পড়লো সপ্তম উইকেট

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কিছুক্ষণ হাল ধরে খেলার চেষ্টা করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি। ৩৬ রানে তাকে ডি জর্জির ক্যাচ বানিয়েছেন মাথুসামি। তাতে পড়েছে সপ্তম উইকেট। ফেরার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক ৫৫ বলে ৩৬ রানে ফিরেছেন। তাতে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছয়ের মার। 

রিভিউতে বাঁচলেন মাহিদুল

৬ উইকেট হারিয়ে আবারও বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ২৩.১ ওভারে মাহিদুলও ফিরতে পারতেন। মহারাজের বলে লেগবিফোরের আবেদন উঠলে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। মাহিদুল তার পর রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। 

বাজে শট খেলে আউট মিরাজও

বাকিদের বাজে শট সিলেকশনে কিছুই শিখলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫ উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপের মুহূর্তে মাথা তুলে দাঁড়ানো দূরের কথা। মেরে খেলতে গিয়ে দলকে আরও বিপদে ফেলেছেন তিনি। মহারাজকে মেরে খেলতে গিয়ে স্টাবসের কাছে ৬ রানে ক্যাচ দিয়েছেন। তাতে ৭০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের মুখে বাংলাদেশ। 

মুশফিকের বিদায়ে পড়লো পঞ্চম উইকেট, আবার ধস

দ্বিতীয় ইনিংসেও ভাগ্য বদলায়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিংয়ে ধস নেমেছে আবার। তৃতীয় সেশনের শুরুতে ৪৭ রানে পঞ্চম উইকেট পড়েছে মুশফিকুর রহিমের বিদায়ে। প্রথম ইনিংসে শূন্যতে আউট হওয়া মুশফিক দ্বিতীয় ইনিংসে ২ রানে ফিরেছেন। মুথুসামির বলে সুইপ করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফুলার লেংথের বল হওয়ায় লাইন মিস করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা আবেদন করে ‍শুরুতে সাড়া পায়নি। রিভিউ নেওয়াতেই মিলেছে সাফল্য। মুশফিক এলবিডাব্লিউতে ফিরেছেন ২ রানে।     

চা বিরতির আগে চতুর্থ উইকেট হারালো বাংলাদেশ

ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও বাজে ব্যাটিংয়ের মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশ।  ইনিংস হার এড়ানোর লড়াইয়ে বাংলাদেশ চায়ের বিরতিতে যাওয়ার আগেই ৪৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে। দ্বিতীয় সেশনের শেষ বলে অযথা বিলাসী শট খেলার চেষ্টায় স্টাম্পড হয়েছেন জাকির (৭)। মুথুসামির বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। বাংলাদেশ এখনও ৩৭৩ রানে পিছিয়ে। 

বাজে ব্যাটিংয়ের নজির রাখা টপের সাদমান (৬), জয় (১১), মুমিনুল (০) সেভাবে ভূমিকাই রাখতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে পেসার প্যাটারসন ৬ রানে নিয়েছেন একটি উইকেট। ১০ রানে দুটি নিয়েছেন স্পিনার মুথুসামি। ৬ রানে একটি শিকার করেছেন মহারাজ।    

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ মুমিনুল, আবার বিপদে বাংলাদেশ

প্রথম ইনিংসটা কিছুটা লম্বা হয়েছে মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ে। ৮২ রান করেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্যতেই তাকে তালুবন্দি করিয়েছেন মহারাজ। মেরে খেলতে গিয়ে মুথুসামির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মুমিনুল। তাতে ২৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে আবার বিপদে বাংলাদেশ 

ফিরলেন জয়

দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিংয়ে আহামরি কিছু করতে পারলেন না জয়। দলের ২৮ রানে মুথুসামির বলে ডিফেন্সিভ শট খেলতে গিয়েছিলেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে মারক্রামের হাতে। প্রথম ইনিংসে ১০ রান করা জয় এবার ফিরলেন ১১ রানে।  

সাদমানের আউটের পর জীবন পেলেন জাকির

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ ওপনার সাদমান ইসলাম। ১৫ রানে প্যাটারসনের বলে মাত্র ৬ বলে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন তিনি। পরের ওভারে নতুন নামা জাকির হাসানও ফিরতে পারতেন। রাবাদার ওভারের প্রথম বলে স্লিপে ক্যাচ গেলেও মারক্রাম সেটা হাতে জমাতে পারেননি। জাকির তখন ১ রানে ব্যাট করছিলেন।  

১৫৯ রানে শেষ প্রথম ইনিংস, ফলোঅনে বাংলাদেশ

তৃতীয় দিনের শুরুতেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাংলাদেশ। ৪৮ রানে হারায় ৮  উইকেট। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় ফলোঅনে পড়তে যাচ্ছে তারা। কিন্তু নবম উইকেটে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশকে যতদূর সম্ভব টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে মুমিনুল ৮২ রানে ফিরতেই ভাঙে ১০৩ রানের জুটি। তার পর আর টেকেনি স্বাগতিকদের প্রতিরোধ। অবশ্য মুমিনুল দারুণ ব্যাটিংয়ে জুটি না গড়লে শতরানের আগেই ইনিংস গুটিয়ে যেতো। তার ব্যাটিংয়েই বাংলাদেশ দেড়শ পার হতে পেরেছে। তাইজুল শেষ উইকেট হিসেবে মহারাজকে ক্যাচ দিলে প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ১৫৯ রানে। বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে ৪১৬ রানে।

৩৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার রাবাদা। ৩১ রানে দুটি নিয়েছেন প্যাটারসন। ৫৭ রানে দুটি নিয়েছেন কেশব মজারাজও। ১০ রানে একটি নিয়েছেন সেনুরান মুথুসামি। 

৮২ রানে থামলেন মুমিনুল

অসাধারণ জুটিতে লড়াই করছিলেন মুমিনুল হক। ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশকে টেনে তুলতে। কিন্তু লাঞ্চ থেকে ফিরে ষষ্ঠ ওভারেই ৮২ রানে কাটা পড়লেন তিনি। মুথুসামির বলে এলবিডাব্লিউর শিকার হয়েছেন। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। তাতে ভেঙেছে তাইজুল-মুমিনুলের ১০৩ রানের জুটি। মুমিনুলের ১১২ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছয়। 

শুরুর বিভীষিকার পর মুমিনুল-তাইজুলের লড়াইয়ে শেষ প্রথম সেশন

তৃতীয় দিনে শুরুর দিকটা বাংলাদেশের জন্য ছিল বিভীষিকাময়। ৪ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে খেলা শুরুর পর প্রথম ঘণ্টাতে ৪৮ রানে অষ্টম উইকেট হারিয়ে এলোমেলো হয়ে পড়ে দলটির ইনিংস। তখন ৮০ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে। সেখান থেকে পরবর্তী  ২২ ওভার লড়াই করেছে মুমিনুল হক-তাইজুল ইসলাম জুটি। নবম উইকেট জুটিতে শেষটায় প্রতিরোধ গড়ে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন তারা। তাদের ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান নিয়ে স্বাগতিকরা প্রথম সেশন শেষ করেছে। তবে সার্বিকভাবে সেশনটা ছিল প্রোটিয়াদের।   

রাবাদার তোপে সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে প্রান্ত আগলে ছিলেন মুমিনুল। তার ব্যাটেই বাংলাদেশ ধ্বংসস্তূপে লড়াই করছে। নিজের পয়মন্ত মাঠে ফিফটি তুলে ৭৪ রানে ব্যাট করছেন। তাইজুল ব্যাট করছেন ১৮ রানে। তার পরেও বাংলাদেশের ফলোঅন এড়ানোর জন্য আরও প্রয়োজন  ২৩৯ রান। তারা পিছিয়ে আছে ৪৩৮ রানে।  

৩৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন রাবাদা। ২৫ রানে দুটি নিয়েছেন প্যাটারসন। ৪৬ রানে একটি নিয়েছেন কেশভ মহারাজ। 

ধ্বংসস্তূপে লড়াই করে মুমিনুলের ফিফটি 

৪৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পরও মনোবল হারাননি মুমিনুল হক। তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে নবম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েছেন। পূরণ করেছেন ক্যারিয়ারের ২০তম ফিফটি। মুমিনুল পঞ্চাশ পূরণ করেছেন ৭৬ বলে। জুটিও পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মুমিনুল

২৭.৫ ওভারে মহারাজের বলে এলবিডাব্লিউতে আউট হয়েছিলেন মুমিনুল। মুহূর্তেই রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন তিনি। রিপ্লেতে দেখা গেছে বল প্যাডে লাগার আগে ব্যাট স্পর্শ করেছে।   

৮ উইকেট হারানোর পর লড়ছেন তাইজুল-মুমিনুল

প্রথম ঘণ্টাতেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশকে ৩৭৬ রান করতে হবে।

৪৮ রানে ৮ উইকেট পড়ার পর লড়াই করছেন মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম। একটা সময় ৭০ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যাওয়া স্বাগতিক দল প্রথম ঘণ্টা পার করে ২৩ ওভারে ৮ উইকেটে ৮২ রান তুলেছে। এ সময় তাইজুল লেগ  বিফোরে আউট হতে পারতেন। আম্পায়ার্স কলে বেঁচেছেন তিনি।  

৪ উইকেট হারিয়ে সকালেই বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

দুই প্রান্তে রাবাদা-প্যাটারসনের আক্রমণে পুরোপুরি খেই হারিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। ২ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে চার উইকেট। মুশফিকের আউটের পরের ওভারে রাবাদার এক ওভারেই জোড়া শিকারে বিদায় নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম। তাতে ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধ্বংংসস্তূপে পরিণত স্বাগতিকরা। জোড়া উইকেট নিয়ে ফাইফার পূরণ করেছেন গতকাল টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে বসা রাবাদা। 

শুরুতে মিরাজ কট বিহাইন্ড হয়েছেন ১ রানে। মাহিদুল ফিরেছেন লেগ বিফোরে। রিভিউ নিয়েও রক্ষা পাননি।  

মুশফিকের আউটে ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের

নতুন বল দেখে দুই প্রান্তে পেস দিয়ে শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে মেলে সাফল্যও। নাজমুল হোসেন শান্তকে হারানোর পর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও দলের ত্রাতা হতে পারেননি। প্যাটারসনের ফুলার লেংথের বলে শট খেলার চেষ্টা করলে স্কয়ার লেগে ডি জর্জিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন শূন্য রানে। 

দিনের শুরুতেই ফিরলেন শান্ত

গতকাল বাজে ব্যাটিংয়ের খেসার দিয়েছে টপ অর্ডার। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও ব্যতিক্রম ছিলেন না। নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে খেলতে নামলেও প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। বরং খোঁচা মারতে গিয়ে গ্লাভস বন্দি হয়েছেন তিনি। রাবাদার গতিময় বলে ছিল বাউন্স। শরীর থেকে যথেষ্ট বাইরের বল হওয়ার পরও খেলার চেষ্টা করে ক্যাচ আউট হয়েছেন।    

নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ 

দক্ষিণ আফ্রিকার রানের পাহাড়ে চাপা পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রানে ইনিংস ঘোষণার পর ৩৮ রানে বাংলাদেশের ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে চালকের আসনে রয়েছে সফরকারীরাই। তৃতীয় দিন কঠিন চাপে থেকেই নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে বাংলাদেশ খেলতে নেমেছে। 

গতকাল খেলা হয়েছে ৯ ওভার। আলোর স্বল্পতায় ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে ক্রিজে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (৪) ও মুমিনুল হক (৬)। গতকাল বাংলাদেশের টপ অর্ডার ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ। বিদায় নিয়েছেন সাদমান, জাকির ও জয়। 

চারটি উইকেটের দুটি নিয়েছেন পেসার কাগিসো রাবাদা। একটি করে নিয়েছেন ডেন প্যাটারসন ও কেশব মহারাজ।