অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে বোর্ড সভাপতিকে কিছুই জানাননি শান্ত!

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজের ফর্ম হারিয়ে ফেলেন তিনি। এখন রান খরায় তীব্র সমালোচনার মুখে সরে যেতে চাইছেন। বিষয়টি নিয়ে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ জানালেন, অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে তার সঙ্গে কোনও কথাই বলেননি শান্ত! পত্রিকা পড়েই শান্তর বিষয়টি জানতে পেরেছেন। 

বুধবার মিরপুরে বোর্ড সভা। সভা শুরুর আগে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শান্ত প্রসঙ্গে ফারুক বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে কথা হয়নি। তবে লিখিত দিয়েছে কিনা আমি নিশ্চিত না। আমিতো পত্রিকা পড়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। এই মুহূর্তে ওর সঙ্গে সেই ভাবে কোন কথা হয়নি।’

শান্তর সঙ্গে আলোচনা করে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান, ‘আমি ওগুলো নিয়ে শান্তর সঙ্গে কথা বলবো। আজকে আমি চট্টগ্রামে যাবো। কাল-পরশুর মধ্যে কোচ, অধিনায়কের সঙ্গে বসে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। তবে যেটা হল কেউ কোন দায়িত্ব পালন করতে না চাইলে আমরা বললাম ওকে ধন্যবাদ- এটা সমাধান না।’

শান্তর সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার বিষয়টা এড়িয়ে গেলেও ফারুক স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এমন সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চাইবেন তিনি, ‘যদি কোন ক্রিকেটার মনে করেন যে তার দায়িত্ব সে চালিয়ে নিতে পারছে না। সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তো শান্তর যে ব্যাপারটা সেটা আমিও শুনেছি। কিন্তু এর পেছনে কোন কারণ আছে কিনা, কেন করতে চাচ্ছে না- এগুলো খুঁজে বের করাটা খুব জরুরি। ’

সরাসরি কিছু না বললেও অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে বলায় কিছুটা বিরক্ত প্রকাশ করেছেন ফারুক, ‘আমি জানি না শান্ত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছে কিনা। আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা হয়, এখন অনেক কিছু নিয়েই ক্রিকেটাররা আপসেট থাকে। কারণ তাদের পারফরম্যান্সের চিন্তা করতে হয়, যে কোন সামাজিক মাধ্যমের খবর তাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ’

তিনি আরও বলেছেন, ‘ক্রিকেটারদের তাই এসব ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার যে, তারা যে কোন কিছুই ফিল করুক। সেটা যে জায়গায় কথা বলা উচিত সেখানে যা মনে করে সেটা বলতে পারে। যেমন ক্রিকেট অপারেশন্স, সিইও এরপর চেয়ারম্যান আছেন- সে জায়গা গুলোতে ওই ক্রিকেটার তার মনের কথাটা বলতে পারেন।’