তবুও হতাশ নন সিমন্স

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে ২ উইকেটে ৩০৭ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।  ওপেনার টনি ডি জর্জি ও তিন নম্বরে খেলতে নামা ট্রিস্টান স্টাবসের ২০১ রানের জুটিতেই মূলত বড় সংগ্রহের পথে আছে প্রোটিয়ারা। স্টাবস ১০৬ রানে আউট হলেও ১৪১ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন ডি জর্জি। দুজনের ক্যারিয়ারেই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি এটি। প্রথম দিনে সফরকারীরা রাজত্ব করলেও হতাশ নন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।

দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স ম্যাচের অবস্থা নিয়ে শুরুতেই বলেছেন, ‘আমি হতাশ, এটা আমি বলতে পারি না। এখানে চমৎকার ব্যাটিং উইকেট। আমি মনে করি বোলাররা পরিশ্রম করেছে এবং ভালো বোলিং করেছে। কিছু সুযোগ মিস হয়েছে। অন্যভাবে হতে পারতো, চার বা পাঁচটি উইকেটও পেতে পারতাম। তবে জানেন, এটি একটি কঠিন দিন। সবমিলিয়ে একটা কঠিন দিন, তবে এটাকে আমি হতাশার বলবো না।’

ঢাকা টেস্টে একজন কম বোলার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে পরিস্থিতি বদলায়নি। পার্থক্য কেবল একজন স্পিনার কমিয়ে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে নাহিদ রানাকে খেলানো হয়। বিশেষজ্ঞ চার বোলার নিয়ে ব্যাটিং উইকেটে তাই টেস্টের প্রথম দিন কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এই বিষয়ে প্রধান কোচ বলেছেন, ‘পঞ্চম বোলার নিয়ে যাওয়ার ভাবনা ছিল। যখন আপনার ব্যাটিং ব্যর্থতা চলছে, তখন মাঝে মাঝে এই দিকেই একটু ঝোকা লাগে। আর আমি মনে করি, সেটি বিবেচনাতেই ছিল। প্রথমেই আমাদের লক্ষ্য টেস্ট ম্যাচটি জেতা, আর যদি জয়ের পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, তবে আপনাকে সেটি অন্তত বাঁচানোর মতো করতে হবে। টেস্ট ম্যাচ এত সহজে ছেড়ে দেওয়া যায় না। আমরা এই দিক বিবেচনা করেই চার পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছি।’

ম্যাচের দ্বিতীয় দিন নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে সিমন্স বলেছেন, ‘এখন দলের পরিকল্পনা হচ্ছে, আগামীকাল (বুধবার) সকালে আমাদের দ্রুত উইকেট নিতে হবে। এরপর, যখন আমরা ব্যাট করবো... আমরা টেস্ট ম্যাচে দেখেছি, পাকিস্তানে একটি দলের ৫০০, অন্য দলের ৮০০ রান হয়েছে এবং তাতেও ফল হয়েছে। তাই সবসময়ই একটি ফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা আজকের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কালকে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করবো। প্রথমেই টেস্ট ম্যাচটি জেতার বিষয়টি ভাবা উচিত, তারপর অন্য কিছু।’