জাতীয় দল এবং এর পাইপলাইনে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে উঠে আসা। বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাই রাজত্ব করছে জাতীয় দলে। স্বাভাবিকভাবেই গত কয়েক বছরে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওপর বাড়তি ফোকাস থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন যুব দলের কার্যক্রম। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে বড় জয়ে যুব দলের নতুন মিশন শুরু হয়েছে। এদিন ১৬৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে যুবারা।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে যুব দলের ওয়ানেডে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ রাজশাহীতে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টানা দুইদিন চেষ্টা করেও ম্যাচ আয়োজন সম্ভব হয়নি। বৃষ্টিতে আউটফিল্ড খেলার উপযুক্ত না থাকায় ম্যাচটি বডিলি শিফট হয়ে চলে আসে মিরপুরে।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চার ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আরব আমিরাত আগে ব্যাটিং করে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে।
১৬৪ রানের জবাবে ২২ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও দ্বিতীয় উইকেটে রিফাত বেগ ও আজিজুল হাকিম তামিম দলকে ম্যাচে ফেরান। তারা দু’জন মিলে ১১৬ রানের জুটি গড়েন। জয় থেকে ২৬ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফেরেন রিফাত। ৭৯ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৭১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অধিনায়ক আজিজুল ৭১ রানে অপারাজিত থাকেন। ৯৫ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় আজিজুল নিজের ইনিংসটি সাজান। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় ৩৪.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যটা ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
আমিরাতের বোলারদের মধ্যে আরিয়ান সাক্সেনা ও আলী আসগর হামস একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৬.৪ ওভারে ১৬৩ রানে অলআউট হয় আমিরাত। সর্বোচ্চ ৪৯ রান আসে রায়হান খানের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের হয়ে সাদ ইসলাম নেন সর্বোচ্চ চারটি উইকেট। দারুন বোলিংয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। এছাড়া রাফিউজ্জামান রাফি তিনটি উইকেট নিয়েছেন। তরুণ এই স্পিনার আগের যুব দলের সদস্য ছিলেন। কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।