অধিনায়ক হতে প্রস্তুত তাইজুল!

বাংলাদেশের হয়ে জাতীয় দলকে আর নেতৃত্ব দিতে চান না নাজমুল হোসেন শান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পরই অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা ইতোমধ্যে বিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শান্তর বদলে নতুন দায়িত্বে কে আসবেন- সেসব নিয়েই এখন আলোচনা চলছে। এই আলোচনা আরও জমিয়ে দিলেন তাইজুল ইসলাম। বামহাতি এই স্পিনার জানিয়েছেন, অধিনায়কত্ব করতে প্রস্তুত আছেন তিনি।  

মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। টেস্টের আগের দিন সাধারণত অধিনায়কই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকেন। বিশেষ কোনও নিয়ম না থাকলেও এটাই সাধারণ রীতি। সম্ভবত অধিনায়কত্বের ইস্যু সামনে থাকায় এদিন সংবাদ সম্মেলন এড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। 

স্বাভাবিক ভাবেই তাইজুলের সংবাদ সম্মেলন হয়ে উঠলো শান্তময়। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে শান্তকে নিয়ে অনেক প্রশ্নের ভিড়ে তাইজুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি অধিনায়কত্বের জন্য প্রস্তুত কিনা। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু ১০ বছর ধরে খেলছি, আমি পুরোপুরি প্রস্তুত।’ 

শান্ত ইতোমধ্যে নেতৃত্ব ছাড়তে বিসিবির কাছে চিঠি দিয়েছেন। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। বিসিবির নতুন পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমও কিছু জানেন না। এদিকে সতীর্থ তাইজুলও কিছু জানেন না বলেই সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, ‘আসলে এ বিষয়ে আমি কিছু শুনিনি। এটা আমার পার্টও না। এই বিষয়ে আমি সঠিকটা জানি না। ’

টিম মিটিংয়ে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নেও এড়িয়ে যান তাইজুল, ‘আমি জানিই না ভাই এ বিষয়ে। ’

দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে অধিনায়ক হুট করেই নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। হুট করে এই ঘটনা দলে প্রভাব ফেলা অস্বাভাবিক নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলেই বাংলাদেশ দল আরব আমিরাত চলে যাবে। সেখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এই অবস্থায় অধিনায়ক ইস্যু কতটা প্রভাব ফেলতে পারে এমন প্রশ্নে বাঁহাতি এই স্পিনার বলেছেন, ‘এটা আসলে আমাদের টিম গেম। টিম কী করে ভালো থাকবে এটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। এটার প্রভাব কেউ কেউ নিতে পারে, আবার কেউ নির্ভার থেকে নিজের কাজটা করে যেতে পারে। আমি ব্যক্তি হিসেবে বলবো সবসময় নির্ভার থাকার চেষ্টা করি এবং নিজের কাজটা করার চেষ্টা করি। কিন্তু এটা যখন একটা দলের ভেতরে ঘটে, জানি না কে কোন হিসেবে নেয়। আসলে সবার মানসিকতা একরকম না। ’

তাইজুল আরও বলেছেন, ‘আপনি যে প্রশ্ন করছেন, এটা আসলে অনেক গভীর একটা প্রশ্ন। এটার উত্তর আমার কাছে নেই, এটাই সত্যি। কারণ আমি যখন একটা ম্যানেজমেনন্ট মিটিং হয় বা বোর্ডের যখন মিটিং হয়, আমি বা প্লেয়াররা কিন্তু জড়িত থাকে না। ক্যাপ্টেন কে হচ্ছে, কোচ কে হচ্ছে, এটা আমাদের পার্ট না। ’